Suvendu Adhikari on Jadavpur: মাদক পাচার হত…যাদবপুর নিয়ে বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু, জবাব দিলেন ব্রাত্য

যাদবপুর নিয়ে নানা চর্চা। যাদবপুর নাকি মুক্তাঞ্চল। যাদবপুর নাকি অভব্যতা, অশ্লীলতার আঁতুরঘর। কিন্তু গোটা দেশজুড়ে যাদবপুরের মেধা নিয়ে কিন্তু কারোর কোনও সংশয় নেই। তারপরেও কেন এত অন্ধকার যাদবপুরে?

তবে এবার বিধানসভায় যাদবপুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব রাখা হয়। তবে এদিন যাদবপুর নিয়ে বিধানসভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু।

তিনি বলেন, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ আচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে আমাদের অভিযোগ। Ragging করেছে। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখত। সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয় বিদারক। তবে এটা নতুন নয়। এখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে, যারা দেশ বিরোধী কথা বলে মাঝে মাঝেই।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই মাদক তত্ত্বের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মাদক চক্র চললে তার জন্য় আছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার দায় রাজ্যপালের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

তবে যাদবপুরের অন্দরমহল নিয়ে নানা কথা রটছে সমাজ মাধ্যমে। তবে যাদবপুরের প্রাক্তনীদের একাংশের মতে, Ragging কোনও দিনই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু গোটা যাদবপুরকে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না। অনেকেই গ্রাম থেকে যাদবপুরে পড়তে আসেন। তাঁদের অনেকেই সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যাদবপুরের এই ছাত্র মৃ্ত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনার জেরে কোনওভাবেই যাতে যাদবপুরের মানকে নামিয়ে আনা না হয় সেটা দেখা দরকার।

এবার আসছে মাদকের প্রসঙ্গ। একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদবপুর চত্বর থেকে মদের বোতল পাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ঝোপে ঝাড়ে মেলে মদের বোতল। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের পাশে থাকা প্রতিবেশীদের একাংশের মতে, মদের বোতল ছুঁড়ত হস্টেলের ছেলেরা।

এক মহিলা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ছাদে উঠতে পারতাম না। আয়না দিয়ে মুখে আলো ফেলত। কোনওরকমে এসে লুকিয়ে পড়তাম। ওরা জানতে পারলেই অশ্লীল কথা বলত। নীচে নেমে যেতে বাধ্য হতাম। কাপড় জামা শুকোতে দিতেও আসতে পারি না। পুলিশকে বলেও লাভ হয় না।