Arms smuggling: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! ছিনতাইয়ের তদন্তে মিলল অস্ত্র পাচার চক্রের হদিস

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে! ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত নেমে মিলল অস্ত্র পাচার চক্রের হদিস। হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে এই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি সেভেন এমএম পিস্তল এবং একটি ছয় নালা বন্দুক। এ ছাড়া উদ্ধার হয়েছে ১৩০ রাউন্ড গুলি। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা পার্থ দাস ওরফে রনিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ সুরজ রায় নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন: মালদায় অস্ত্রপাচারের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ল স্কুল পড়ুয়া

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৯ জুন। এক ব্যবসায়ী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। সে ঘটনায় ব্যাঁটরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় পেয়েছে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পার্থর কথা জানতে পারে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকেই পুলিশ অস্ত্র পাচারের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর পার্থর মাধ্যমে অস্ত্র কেনার টোপ দিয়ে সুরজকে মুর্শিদাবাদ থেকে টিকিয়াপারায়  ডেকে পাঠানো হয়। সেই মতোই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টিকিয়াপাড়ায় ব্যাগ ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি নিয়ে হাজির হয় সুরজ। তখনই হাতেনাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত সুরজ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।

 পুলিশের অনুমান, এই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে সুরজ ছাড়াও আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিনতাইকারীরা ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে সুরজের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনত। জেরাই একথা নিজেও স্বীকার করেছে পার্থ। লিলুয়ার কোনার তেঁতুলতলার পেয়ারাবাগান এলাকার বাসিন্দা ওই ধৃত। পুলিশের অনুমান, অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সুরজের সঙ্গে অনেকেই যুক্ত রয়েছে। বিশেষ করে সে কাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করত? কাদের সরবরাহ করত? সেই সমস্ত তথ্য পুলিশে জানতে চাইছে। সুরজের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ২৫ ও ২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায়। তার ভিত্তিতে সুরজের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।