Suvendu Adhikari: ‘কে আদি BJP কে নব্য, ভুলে একসঙ্গে কাজ করুন’ দ্বন্দ্ব মেটাতে বার্তা শুভেন্দুর

সম্প্রতি বহু জায়গায় বিজেপির জেলা সভাপতি এবং মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। তাতে অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপির অন্দরে এখন দ্বন্দ্ব চলছে। আগামী বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। এই অবস্থায় ইতিমধ্যে এই দ্বন্দ্ব ঠেকাতে তৎপর হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে গ্রিভান্স সেল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার দলের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বার্তা, কে নতুন কে পুরনো সেটা ভুলে গিয়ে সকলেই যে বিজেপির অনুগামী সেই কথাই মাথায় রেখে চলতে হবে।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দুর্নীতিতে CBI তদন্ত, বাংলার TMC নেতা জড়িত, দাবি শুভেন্দুর

সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই বিজেপির অনুগামী। কেউ ব্যক্তিগত অনুগামী নই। কে পুরনো বিজেপি কে নতুন বিজেপি সেটা বড় কথা নয়। দিনের শেষে পারফরমেন্সটাই হল আসল কথা। আগের বিজেপি আর এখনকার বিজেপি এক নয়। জো জিতা ওহি সিকান্দার।’ পারফরমেন্সের কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান করতে পেরেছি। দুটি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির হাতে এসেছে।’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক নেতার কটাক্ষ, ‘আদি নব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। আদিরা বঞ্চিত হলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে। সামনে যেহেতু লোকসভা ভোট তাই সেটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি।’ 

উল্লেখ্য, আগামী বছরে রয়েছে লোকসভা ভোট, তাই দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও যাতে তা প্রকাশ্যে না এসে সমাধান করা যায়। সেই চেষ্টায় করতে বলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গ্রিভান্স সেল তৈরির পাশাপাশি জেলা এবং মণ্ডল কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদেরও বিভিন্ন কমিটিতে পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বাদ পড়া কয়েকজন জেলা সভাপতিকে রাজ্যের কার্যনির্বাহিনী কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে জেলা স্তরের নেতারা সংগঠন নিয়ে এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। 

প্রসঙ্গত, ৪৩ টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে বিজেপির। যার মধ্যে ১৪ টি জেলার সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা বিজেপির নেতাকর্মীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। কিছুদিন আগেই এই দুই জেলার কর্মীরা সল্টলেক পার্টি অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।