রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের। এমনই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। একাধিক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ওই বিমানের যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোজিনের নাম ছিল। তবে ওই বিমানে আদৌও ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ছিলেন কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। যে প্রিগোজিন মাসকয়েক আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। মস্কো দখলের ডাক দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য পিছু হটে গিয়েছিলেন ভাড়াটে সৈন্য দলের প্রধান। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর ‘সাত খুন মাফ’ করে দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ওই জেটটি আদতে ভাড়াটে সৈন্যগোষ্ঠী ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান প্রিগোজিনের ছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। রাশিয়ার অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে যাত্রী তালিকায় প্রিগোজিনের নাম ছিল। তবে তিনি শেষপর্যন্ত প্লেনে উঠেছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: Wagner Group chief Yevgeny Prigozhin: আন্ডারপ্যান্ট পরে তাঁবুতে বসে আছেন বস! ওয়াগনারের চিফের আরও ৬টি অবাক করা ছবি দেখুন: Report
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার জরুরি বিভাগের আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসের তরফে জানানো হয়েছে যে ওই বিমানে তিনজন পাইলট ছিলেন। সাতজন যাত্রীও ছিলেন সেই বিমানে। যা মস্কো থেকে বিমানটি সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। মস্কোর উত্তরে ১০০ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় সেই বিমান ভেঙে পড়ে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।