ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে এজেন্সির হানা, ‘জন্মদিনেই ইডিকে পাঠালেন, ধন্যবাদ! মোদী’

ঋতেশ মিশ্র

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি বুধবার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের রাজনৈতিক উপদেষ্টার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার সকালে ইডির টিম মুখ্য়মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার বাড়িতে হানা দেয়। তাঁর রায়পুরের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি।

সূত্রের খবর, ভূপেশ বাঘেলের ওএসডি মণীশ বানছোড় ও আশিস ভার্মার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। বাঘেলের অপর এক ঘনিষ্ঠ বিজয় ভাটিয়ার ইডির স্ক্যানারের নীচে রয়েছে। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।

এদিকে এই ইডির অভিযান নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, শ্রদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও মিস্টার অমিত শাহ আপানাদের অনেক ধন্যবাদ। এই যে মূল্যবান উপহার আপনি পাঠালেন। আমার রাজনৈতিক উপদেষ্টা, আমার ওএসডি ও আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে ইডিকে পাঠালেন আমার জন্মদিনের দিন।

তবে কেন তাঁদের বাড়িতে এভাবে ইডি পৌঁছে গেল তা নিয়ে পুরোটা এখনও পরিষ্কার নয়।

এবার দেখে নেওয়া যাক ভূপেশ বাঘেলের ঘনিষ্ঠদের পরিচয়…

গিরীশ দেওয়ানগান

রায়পুরের খারোরা শহরের বাসিন্দা। তিনি ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁরা সেই স্কুল থেকে এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বর্তমানে ছত্তিশগড় মিন্যারাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।ডি। 

দেবেন্দ্র যাদব

ভিলাইয়ের বিধায়ক। বয়স ৩০ এর কোঠায়। ভিলাই কর্পোরেশনের মেয়র। গত বিধানসভা ভোটে তিনি বিজেপি নেতা প্রেম প্রকাশ পাণ্ডেকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারত জোড়ো যাত্রায় তিনি কাশ্মীরে তাঁর অনুগামীদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। 

আরপি সিং

ছত্তিশগড় কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র। একাধিক টেলিভিশন বিতর্কে তিনি কংগ্রেসের অন্যতম বড় মুখ। যে কয়েকজন সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে যেতে পারেন তার মধ্য়ে অন্যতম হলেন এই আরপি সিং। 

বিনোদ তিওয়ারি

তিনি যুব কংগ্রেস নেতা। ২০১৮ সালের ভোটের আগে তিনি বাঘেলের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসের অন্যতম নেতা বলে পরিচিতি পান। 

সানি আগরওয়াল

ক্যাবিনের মন্ত্রীর পদমর্যাদা রয়েছে তাঁর। স্টেট বিল্ডিং ও অন্যান্য  কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কারস ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি। 

রামগোপাল আগরওয়াল

কংগ্রেসের কোষাধক্ষ্য। সিভিল সার্ভিস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান। 

চন্দ্রদেব প্রসাদ রাই

২০১৮ সালের আগে শিক্ষাকর্মী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি।  পরে তিনি ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েছিলেন। 

সৌম্য চৌরাশিয়া

তিনি ২০০৮ সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিস অফিসার। কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে তিনি সিএমের ডেপুটি সেক্রেটারি হয়েছিলেন। তিনি মুখ্য়মন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন আধিকারিক বলে পরিচিত। 

এদিন ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন জায়গাতেও ইডি অভিযান চালায়।