Electrocuted: লরি ঠেলতে গিয়ে ট্রান্সফরমারে ধাক্কা, বিদ্যুৎপৃষ্ট হুগলির জুট মিলের ১৫ শ্রমিক

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল হুগলিতে। লরি ঠেলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হলেন কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেন চিকিৎসক। তবে কারও অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে  অন্যদিকে, ঘটনার পরে ওই লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটি সুপার মার্কেটের কাছে।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ল হনুমান, দৌড়ে ঘটনাস্থলে এলেন চুঁচুড়ার কাউন্সিলর

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, লরিটি উত্তর প্রদেশ থেকে জুট মিলে এসেছিল আনলোডিংয়ের জন্য। সেখানে মাল আনলোডিং করার পর লরি নিয়ে ফিরে যেতে চাইছিলেন চালক। কিন্তু, কিছুতেই ইঞ্জিন স্টার্ট নিচ্ছিল না। তখন জুট মিলের শ্রমিকদের  কাছে লরি ঠেলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন চালক। সেইমতোই লরি ঠেলে নিয়ে যান শ্রমিকরা। লরিটি তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশেই থাকা একটি ট্রান্সফরমারে ধাক্কা মারে। ঘটনায় পুরো গাড়িটি বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে। তারফলে শ্রমিকরা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় ওই কারখানায়। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে খবর পেয়ে সেখানে চলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় লরিটি আটক করে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। এছাড়া লরির চালককেও আটক করে।

কারখানার এক কর্মী বলেন, ‘লরিটি উত্তরপ্রদেশে ফিরে যাচ্ছিল। স্টার্ট না নেওয়ায় শ্রমিকদের কাছে লরি ঠেলে দিতে বলেছিল চালক। তখন সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১০০০ ভোল্টের ট্রান্সফরমারে ধাক্কা মারে। লরিটি বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসার ফলে শ্রমিকরা সকলেই পড়ে যান।’ কর্মীদের আশঙ্কা, আর কয়েক সেকেন্ড দেরি হলেই বিদ্যুতের সংস্পর্শে তাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। এই ঘটনার পরে সেখানে কোনও অ্যাম্বুলেন্স না থাকার অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিকরা। তাঁদের বক্তব্য, এই জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে কোনও শ্রমিকের কিছু হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিইএসসি কর্মীরা। তাঁরা সেখানে হয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেন।