শুভেন্দুর গড়ে বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযোগ বিজেপির বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে

মাটিগাড়ার নাবালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শিলিগুড়িতে বনধে ডেকেছে। যদিও তাতে তেমন সাড়া পড়েনি। শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সরকারি বাস ও ছোট গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। মাটিগাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় মাটিগাড়া এলাকায়। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ আজ বিধানসভায় এই ঘটনা নিয়ে হট্টগোল করেন। আর তখনই খবর এল, বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে।

এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার চক গাজিপুর এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই মহিষাদল এলাকাটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক বলেই পরিচিত। যদিও এখানে হেরেছে বিজেপি। কিন্তু এখানে বেশিরভাগ সময় যাতায়াত রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিজেপি সংগঠন তৈরি করা থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানে মহিষাদল যেতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সেখানে বিজেপির বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ মাটিগাড়ার ছাত্রী হত্যার প্রতিবাদে মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং গ্রেফতার করা নিয়ে বিধানসভার উল্লেখ পর্বে তুলে ধরার সময় ডেপুটি স্পিকার সংগত নয় বলে মাইক বন্ধ করে দেন। তখন ওয়েলে নেমে এসে বিজেপি বিধায়করা সদনে স্লোগান–চিৎকার করতে থাকেন। অথচ মহিষাদলে বিজেপির বুথ সভাপতি বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা শিউরে উঠেছেন।

আরও পড়ুন:‌ বীরভূম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি কাজল শেখ যাচ্ছেন তিহাড় জেলে

কে এই বিজেপির বুথ সভাপতি?‌ অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম গোপাল দাস। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার চক গাজিপুরের বাসিন্দা তিনি। বিজেপির বুথ সভাপতি হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। বুধবার বিকেলে ওই বিশেষভাবে সক্ষম তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন গোপাল বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে একা পেয়েই তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। তখন অভিযুক্ত বিজেপির বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে মহিষাদল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। বিজেপি নেতার এই কাণ্ডে তীব্র নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।