Nursing student death: রায়গঞ্জের বাড়িতে ফিরে আত্মঘাতী বেঙ্গালুরুর নার্সিং পড়ুয়া, কারণ নিয়ে জল্পনা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই একের পর এক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার হাসপাতালের এক নার্সিং পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু হয়েছে। আর তারই মধ্যে এবার আরও এক নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই নার্সিং পড়ুয়ার নাম সায়নী সরকার। তিনি নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে ফিরে আসার পরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্রী। সেক্ষেত্রে কী হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: SSKM–এ নার্সিং পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্ত হবে আজ, আদৌও কি ব়্যাগিং! চলছে তদন্ত

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়নী উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহের ময়নতন্ত্রের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। পারিবারিক সূত্র জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা সুবোধ সরকার পেশায় একজন দরজি । গত কয়েক মাস ধরে বেঙ্গালুরুতে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন ওই ছাত্রী। এরপর মাস খানেক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। ঠিক হয়েছিল আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আবার বেঙ্গালুরু ফিরে যাবেন। এর জন্য অগ্রিম টিকিটও কাটা হয়েগিয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই পরিবারের একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সদস্যরা।

মৃতার বাবা জানান, কলেজে সমস্যা হয়েছিল। সেই কারণে বাড়ির ফিরে ছিল ছাত্রটি। নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল নিজেই ফোন করে তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেই মতো মাস খানেক আগে তিনি মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন। ছাত্রীটি এতদিন বাড়িতেই ছিলেন। তবে বাড়ি ফেরার পরে তিনি চুপচাপ থাকতেন। কারও সঙ্গে খুব বেশি কথা বলতেন না। যদিও এই ঘটনায় পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কী কারণে ছাত্রীটি আত্মঘাতী হয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বুধবারই এসএসকেএম হাসপাতালের হস্টেলের শৌচাগার থেকে এক নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।  যদিও সে ক্ষেত্রে র‍্যাগিং হয়নি বলে দাবি করেছেন হাসপাতালে সুপার। অন্যান্য ছাত্রীদের দাবি, নার্সিং নিয়ে পড়াশোনায় চাপ বেশি থাকে। সে কারণে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ছাত্রীটি। তবে এই বিষয়টি এখন তদন্ত চলছে।