Sharad Pawar on Ajit: ‘অজিত এখনও দলেই…’, ভাইপোর বিদ্রোহে কি মাথা নত শরদ পাওয়ারের?

বিদ্রোহ করে অজিত পাওয়ার বিজেপি-শিণ্ডে জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন প্রায় ২ মাস হয়ে গেল। তবে এই আবহে শরদ পাওয়ার দাবি করলেন, দলে কোনও চিড় ধরেনি। শরদ পাওয়ার বলেন, ‘এটা এমন নয় যে দলের বেশিরভাগ লোক বেরিয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষ ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। গণতন্ত্র তাদের তা করার অনুমতি দেয়। তবে তাতে দল বিভক্ত হয়নি। অজিত পাওয়ার এখনও এনসিপি নেতাই আছে।’ এদিকে বাবার বক্তব্যকে আরও ‘স্পষ্ট’ ভাবে তুলে ধরেন সুপ্রিয়া সুলে। বারামতীর সাংসদ এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের সভাপতি শরদ পাওয়ার এবং আমাদের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল। এই মুহূর্তে আমাদের দলের অবস্থান এটাই। আমরা তাঁদের পাশে আছি। আমাদের দল বিজেপির সঙ্গে কোনও জোটে নেই। আমাদের কিছু লোক ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। আমরা স্পিকারকে সেই কথা জানিয়েছি।’ পরে শরদ পাওয়ার নিজেও স্পষ্ট করে বলেন, ‘দলে কিছু নেতা দলবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছেন। তাদের দ্বিতীয় সুযোগ আর দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সঙ্গে মিলে সরকার গড়েছিলেন তিনদিনের জন্য। ভোরে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেছিলেন অজিত পাওয়ার। এরপর সেই সরকারের পতন হয়। তিনি পদত্যাগ করে ফিরে আসেন কাকা শরদ পাওয়ারের কাছে। পরে উদ্ধব ঠাকরের সরকারেও উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত পাওয়ার। তবে ২০২২ সালে সেই সরকারও পড়ে যায়। এরপর বিগত একবছর ধরে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা পদে ছিলেন অজিত পাওয়ার। তবে গত ২ জুলাই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এনসিপির সিংহভাগ বিধায়কের সমর্থনে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন অজিত পাওয়ার। এরপর থেকে একাধিকবার কাকা-ভাইপো বৈঠক হয়েছে। প্রতিবারই ‘পারিবারিক বিষয়’ বলে সেই বার্তালাপে কোনও রাজনৈতিক রঙ চড়াতে চাননি। পাশাপাশি এও দাবি করে এসেছেন যে তিনি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন না। এই আবহে অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলরা বারবারই শরদ পাওয়ারকে এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে দাবি করেছেন, দল একই আছে।

এরই মাঝে অবশ্য প্রতীক নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল কাকা-ভাইপোর মধ্যে। এই আবহে সুপ্রিয়ার বক্তব্য, ‘অজিত পাওয়ার দল বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আমরা বিধানসভার স্পিকারকে বিষয়টি জানিয়েছি। দেখি তিনি কী করেন।’ উল্লেখ্য, এনসিপিতে শরদ পাওয়ারের মেয়ে তথা বোন সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে ক্ষমতা লড়াইয়ে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন অজিত পাওয়ারের। এই আবহে সুপ্রিয়া ও প্রফুল্লকে দলের গুরুত্বপূর্ণে পদে বসান শরদ পাওয়ার। তাতে মনক্ষুণ্ণ হন অজিত। সেই সময় শরদ পাওয়ার বলেছিলেন, অজিত বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ (বিরোধী দলনেতা) পদে আছে। তাই দলের ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে না। জবাবে অজিত পাওয়ার দাবি করেছিলেন, তিনি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা থাকতে চান না। বরং তাঁকে দলের সংগঠনের কোনও পদ দেওয়া হোক। এই দলীয় টানাপোড়েনের মাঝেই বেশ কিছু দিন ধরেই অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগসাযোগের’ জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এই জল্পনা বরাবরই উড়িয়ে দেন দলের প্রধান শরদ পাওয়ার। তবে জুলাই মাসে তাঁর দল ভাঙন ধরিয়ে ফের একবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান অজিত পাওয়ার।