ইসরোর সাফল্য চেয়ে জাপানে হনুমান চালিশা পাঠ ফড়ণবীশের, ভাইরাল ভিডিয়ো

চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ নিয়ে কম উৎসাহ ছিল সারা দেশে। ওই দিন অর্থাৎ ২৩ অগস্ট দেশের নানা প্রান্তে চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করে পুজোআচ্চাও শুরু হয়ে যায়। ২৩ অগস্ট ও তার আগের দিনগুলিতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নমাজ পড়তেও দেখা যায়। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীকেও সেই ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের দিন জাপান সফরে ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই চন্দ্রযানের মঙ্গল কামনায় হনুমান চালিশা জপ করতে দেখা যায় তাঁকে। ইউটিউবে সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। 

(আরও পড়ুন: চায়ের সঙ্গেই সিগারেট খান? উপকার হচ্ছে না ক্ষতি? জেনে নিন বিশদে)

আপাতত, জাপান সফরে পাঁচ দিনের জন্য গিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। সেখানে থেকেই চন্দ্রযান অবতরণের লাইভ ভিডিয়ো দেখেন তিনি। সেই সময় তাঁকে দেখা যায় হনুমান চালিশ পাঠ করতে। চাঁদে পাড়ি দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। চন্দ্রযান-৩ যাতে কোনও সমস্যার মুখে না পড়ে, তাই হনুমান চালিশা পাঠ করেন তিনি। ৪১ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, আরও নানা গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে বসে আছেন তিনি। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একই সারিতে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। ওই অবস্থাতেই হাত একজোড় করে হনুমান চালিশা পাঠ করেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এই দিন ভিডিয়োটি শেয়ার করে ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানীদের অদম্য উৎসাহের প্রশংসা করেন। 

(আরও পড়ুন: চাঁদে বসতি গড়তে চায় মানুষ, দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের অবতরণের কারণ জানাল ইসরো)

প্রসঙ্গত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে ভারত। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হয়েছে এক অবিস্মরণীয় ইতিহাস। সারা বিশ্বের ইতিহাসে নাম করে নিয়েছে ভারত। চাঁদের ওই অংশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক কৌতুহল রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওখানে অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখতেই ইসরো নিশানা করেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে। 

চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যকে ঘিরে সারা বিশ্বে জয়জয়কার ভারতের। সেই তালিকা থেকে বাদ গেল না পাকিস্তানও‌‌। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায়। এর পরদিনই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা ফল সেই সংবাদ। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ‘ডন’ পত্রিকায় প্রথম পাতাতেই প্রকাশিত হয় চন্দ্রযানের খবর।