‘ওর বাবা-মা স্ট্রিক্ট হতে বলেছিলেন,’ স্কুলে মুসলিম ছাত্রকে সহপাঠীর মারধরকাণ্ডে বললেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা

উত্তরপ্রদেশের স্কুলের ভিতর বাকি ছাত্রদের দিয়ে এক মুসলিম ছাত্রকে থাপ্পড় মারতে বলার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীর বিরুদ্ধে। নির্যাতিত ছাত্রের বাবা বলছেন, ‘ আমার ছেলের ৭ বছর বয়স। ঘটনা ২৪ অগস্ট হয়েছে। শিক্ষিকা বাকি ছাত্রদের বলেছিলেন আমার ছেলেকে বারবার মারতে। আমার ভাগ্নে স্কুলে গিয়েছিল একটি কাজে, সেই এই ভিডিয়ো বারবার তুলেছে।’ এদিকে পাল্টা শিক্ষা বলছেন, ‘ওর (ছাত্রের) বাবা মা আমাকে বলেছিলেন ছেলের সঙ্গে কঠোর হতে।’

উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরের এক স্কুলের অন্দরে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক স্কুল শিক্ষিকা তাঁর অন্যান্য ছাত্রদের দিয়ে এক ছাত্রকে মারধর করাচ্ছেন। ওই ছাত্র পরিচিতির দিক থেকে মুসলিম। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো হয়েছে ভাইরাল। ঘটনার পরই প্রশাসন পদক্ষেপ করেছে। এদিকে ওই শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী বলছেন,’যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা এডিট করা আর ছাঁটকাট করা। আমার এরকম কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আমাদের এখানে হিন্দু আর মুসলিম একসঙ্গে থাকে। আর আমাদের স্কুলে বহু মুসলিম পড়ুয়া রয়েছে।’ এরইসঙ্গে তিনি বলছেন,’ওই বাচ্চাটির বাবা মায়ের তরফে চাপ ছিল যাতে আমি তার সঙ্গে স্ট্রিক্ট (কঠোর) হই। আমি ২-৩ জন পড়ুয়াকে ডেকে তাকে মারতে বলি। যাতে সে তাার কাজ করে।’ উল্লেখ্য, ভাইরাল ভিডিয়োতে ‘মহামেডন’ শব্দটি উঠে আসে। আর তা ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়।

এই প্রসঙ্গে তৃপ্তা ত্যাগী বলছেন,’আমি বলেছিলাম যে, মহামেডন মায়েরা যাতে তাদের সন্তানদের মামার বাড়ি না নিয়ে যান, কারণ পরীক্ষা আসছে। আর তাকে কেটে ওইভাবে ভিডিয়ো বানানো হয়েছে।’ তৃপ্তা ত্যাগী বলছেন, ‘আমি প্রতিবন্ধী,আমি উঠতে পারিনা। ওই ছাত্র গত ২ মাস ধরে হোমওয়ার্ক করছিল না। তাই আমি-২৩ জন পড়ুয়াকে দিয়ে তাকে মারধর করাই যাতে সে কাজ করে মন দিয়ে।’ তিনি বলছেন, ‘আমি ভুল করে ফেলেছি। আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি।’ এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা নিয়ে চারা স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।