যোগ হল পুলিশকে বাধা দেওয়ার ধারা, JU-কাণ্ডে ফের পুলিশ হেফাজতে মনতোষ ও দীপশেখর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার মনতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল আদালত। শনিবার মূল মামলায় জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেও তদন্তকারীরা নতুন করে পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ার ধারা যোগ করায় তাঁদের ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক। এই মামলায় শুক্রবার মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

এদিন ধৃতদের আদালতে পেশ করে সরকারি আইনজীবী জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধা দেওয়ার ধারা যোগ করা হয়েছে। এব্যাপারে তাদের আরও বিষদে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই ধৃতদের ফের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হোক। পালটা ধৃতদের আইনজীবীরা বলেন, গ্রেফতারির এতদিন পরে কেন নতুন ধারা যোগ করা হল। আসলে ধৃতদের যে কোনও উপায়ে নিজেদের হেফাজতে রাখতে চাইছে পুলিশ।

জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীরা বয়ানে জানিয়েছেন, এই দীপশেখর ও মনতোষই ঘটনার রাতে হস্টেলের গেটে তালা দিয়ে দিতে বলেছিলেন। তাদের বাধাতেই হস্টেলে ঢুকতে পারেনি পুলিশ। এদের বাচ্চা বলা হলেও এদের কাজকর্ম মোটেও বাচ্চাদের মতো নয়। দীপশেখরের আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল মানসিভাবে ভেঙে পড়েছেন। জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষায় তা ধরা পড়েনি। দরকারে চিকিৎসা করাতে রাজি আছে পুলিশ।

সওয়াল জবাবের পর মূল মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে পুলিশকে বাধা দেওয়ার মামলায় ২ জনকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি।