Sujit Basu and Sabyasachi Dutta: ‘তদন্তের জন্য CBI ডাকতেই পারে’ পুর মামলায় সুজিতকে তলব নিয়ে বললেন সব্যসাচী

পুরসভাগুলিতে দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। বিভিন্ন পুরসভায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এবার সেই মামলায় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছে সিবিআই। আগামী ৩১ অগস্ট তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরে এই তলবকে ‘প্রতিহিংসা’ বলে সরব হয়েছে তৃণমূলের একাংশ। এই তলবকে প্রতিহিংসা বলে মানতে নারাজ সুজিত বসুর সতীর্থ তথা বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত।

আরও পড়ুন: কাজ না থাকলে যাব, সিবিআইয়ের তলব নিয়ে বললেন সুজিত বসু

সব্যসাচীর মতে, আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। ফলে তদন্তের স্বার্থে সিবিআই যে কাউকে ডাকতেই পারে। তিনি দ্রুত তদন্তের পক্ষে। তবে তিনি এই তলবকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মানতে চাননি। প্রসঙ্গত, সিবিআই জানতে পেরেছে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগে কিছু দুর্নীতি হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য সুজিতকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। কারণ সেই সময় সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে সুজিত বসু জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কিছু জানতে চাওয়া হলে তিনি সিবিআইকে জানাবেন। তবে সুজিত বসুর সিবিআই তলবের পরে তৃণমূলের একাংশ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ করেছে।

 উল্লেখ্য, সুজিত বসু এবং সব্যসাচী এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। একাধিকবার এই দুই নেতা প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়িয়েছেন। এমনকী সুজিত ও সব্যসাচীর অনুগামীরা বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুই নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোটে লড়াই করেছিলেন। সেই সময় সব্যসাচী সুজিতের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু, শেষমেষ দুই নেতার লড়াইয়ে বিধানসভায় জয়ী হয়েছিলেন সুজিত বসু।

 ২০২১–এর বিধানসভায় তৃণমূল ভালো ফল করার পরেই আবার ঘাসফুলে ফিরে আসেন তিনি। এরপর সব্যসাচী ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি তাতে জয়ী হয়েছিলেন। সব্যসাচী আগে বিধাননগর পুরসভা মেয়র ছিলেন। ২০২২ সালে পুর নির্বাচনের পর তাঁকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও দুই নেতার মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। বিধানসভায় পুর বোর্ড গঠন করার সময় কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দুই নেতাকে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।