উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রতিরক্ষা জোরদারের পথে ইউক্রেন

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য সেনা মোতায়েন ও নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ জেনারেল কমান্ডার সিরস্কি। ওয়াশিংটনের বিরোধিতার পরও এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইউর্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, শত্রুরা কামান, মর্টার ও বিমান দিয়ে আক্রমণ করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যথাসম্ভব সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন জানিয়েছে, এই কৌশল সমর্থন করছেন না মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের মতে, চলমান পাল্টা আক্রমণে ধীরগতির জন্য ইউক্রেনীয় কৌশল দায়ী।

পেন্টাগনের যুক্তি অনুসারে, কিয়েভের উচিত সম্মুখভাগে একসঙ্গে যত বেশি সম্ভব সেনা পাঠানো। ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা তা না করে সেনা ও অস্ত্রকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করছেন। তারপর পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে যতটা সম্ভব সাম্য অবস্থান তৈরি করা।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন সমালোচনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, কুপিয়ানস্ক ও খারকিভের মতো অঞ্চল  থেকে  ইউক্রেনীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হোক, এটাই চাইছে রাশিয়া।

ইউক্রেনীয় প্রাভদা নিউজ আউটলেটের প্রতিবেদন অনুসারে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় তিনি বলেছেন, আমরা খারকিভ, ডনবাস, পাভলোহরাদ বা ডিনিপ্রো ছেড়ে দেব না।

জেনারেল সিরস্কি বলেন, আমাদের শত্রুরা তাদের বাহিনীকে পুনর্গঠন করছে। নবগঠিত ব্রিগেড ও বিভাগগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে। রাশিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের মাত্রা বৃদ্ধি করা এবং পুনরায় আক্রমণ শুরু করা।

তবে স্বতন্ত্রভাবে নতুন ইউনিটের আগমনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।