Duttapukur Blast: হাত বোমা নাকি আরডিএক্স? কী তৈরি হত দত্তপুকুরে, বিস্ফোরক জবাব বাজি ব্যবসায়ীদের

কয়েক মাস আগে এগরার বিস্ফোরণকাণ্ডের পরে দেখা গিয়েছিল বেআইনী বাজির বিরুদ্ধে পুলিশের অতি তৎপরতা। দলে দলে পুলিশ তখন ছুটেছিল বেআইনি বাজি ধরতে। কিন্তু তারপরেও দত্তপুকুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! কীভাবে এটা সম্ভব হল? তবে কি পুলিশের সোর্স বলে কিছু নেই? নাকি সব জেনেও ঘুমিয়ে ছিল পুলিশ? কিন্তু বিস্ফোরণের তীব্রতা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কংক্রিটের তৈরি আস্ত বাড়ি হুড়মুড় করে ভেঙে গিয়েছে। আতস বাজির কি এত জোর থাকে যে পরপর চারটি বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে?

আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, সারা বাংলা আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেছেন। সেই সংগঠনের নেতা বাবলা রায় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বোমাকে আতসবাজি বলে চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সেখানে আতসবাজি তৈরির মশলা ছিল না। ছিল পটাশিয়াম ক্লোরাইড। তার সঙ্গে আতসবাজি বানানোর কোনও সম্পর্কই নেই।

সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন ওখানে যাঁরা ছিলেন তারা আইএসএফ দলের। যারা মারা গিয়েছেন তাঁরাও আইএসএফ কর্মী।

তবে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই ঘটনায় আইএসএফ যোগের অভিযোগ একেবারেই মানতে চাননি। তবে আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির এই পর্যবেক্ষণ কার্যত অনেকেরই মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে।

প্রশ্ন উঠছে এখানে যদি আতসবাজি তৈরি না হয়ে বোমা বানানো হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ কী করছিল? আইএসএফের জন্য হলেও তো পুলিশ ব্যবস্থা নেবে? সেক্ষেত্রে কেন পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি? তবে কি পুলিশ আইএসএফের কাছ থেকেও পয়সা খায়?

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এমনকী এই ঘটনায় তৃণমূল আর আইএসএফের মধ্যেও তুমুল চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির দাবি,এনআইএ তদন্ত করা হোক। আমাদের মনে হচ্ছে এখানে আরডিএক্স তৈরি হত। ভালো করে তদন্ত করা হোক।

এদিকে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ২০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে দেহাংশ। ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এর পেছনে পুলিশ, প্রশাসনের হাত ছিল। তারা নিয়মিত এখান থেকে টাকা তুলত। সেকারণে সব জেনেও চুপ করে থাকত। তাছাড়া আসতবাজিতে স্টোন চিপ কেন লাগত?

এদিকে সেই বিস্ফোরণস্থল থেকে কিছুটা দূরে দেখা গিয়েছে বাজি তৈরির নানা উপকরণ। কার্যত গবেষণাগারের মতো ব্যাপার। কিন্তু আতসবাজি তৈরিতে এসব কেন লাগত? বিজেপির দাবি এনআইএ তদন্ত করা হোক। না হলে সত্য সামনে আসবে না।