Jadavpur student death: যাদবপুরে সেনার পোশাকে ঢুকে পড়া সংগঠনের প্রধানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুতে শোরগোলের মধ্যেই ক্যাম্পাসে দেখা গিয়েছিল সেনার পোশাক পরা বেশ কয়েকজনকে। সেনার পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয় কারা ঢুকেছিল? তাই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শেষে জানা যায়, যারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনার পোশাক পরে ঢুকেছিলেন তারা নিজেদের মানবাধিকার সংগঠন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্য বলে দাবি করেন। সেই ঘটনায় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে যাদবপুর থানার পুলিশ। মামলাতে সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি কাজি সাদিক হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পোশাক ক্যাম্পাসে কারা?‌ জানতে মামলা করল পুলিশ

গত বুধবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনার পোশাক পরে দেখা গিয়েছিল ২০ থেকে ৩০ জনকে। তারা ভারতীয় সেনা নাকি আধাসেনা? তাই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এরপর যাদবপুর থানার ইন্সপেক্টর ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন। সেনার পোশাক পরা ব্যক্তিরা কাজি সাদিকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। তাদের মাথায় ছিল লাল রংয়ের টুপি। শুধু তাই নয় তাতে ভারতীয় সেনার প্রতীকও ব্যবহার করা হয়েছিল। এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহামঞ্জু বসুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে জানা যায় সেনার পোশাক পরে যারা এসেছিলেন তারা আসলে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের সদস্য। এর পরেই পুলিশ শুক্রবার কাজি সাদিক হোসেনকে নোটিশ পাঠায়। তবে দিনের বেলায় তিনি যাদবপুর থানায় যাননি রাতে তাঁকে গার্ডেনরিচ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর যাদবপুর থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরে কেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিল? কেনই বা তারা সেবার পোশাক পড়েছিল সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে সংগঠনের প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছে যাদবপুর থানার পুলিশ।

এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাঁকে নোটিশ পাঠালেও প্রথমে সেই নোটিস গ্রহণ করেননি সাদিক। পরে গার্ডেনরিচ থানা থেকে তিনি নোটিস সংগ্রহ করেন। পুলিশ তদন্তে ওই সংস্থার একটি লেটারহেড পায়। ওই সংস্থার হেড অফিস ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট বলে উল্লেখ করা হলেও সেখানে গিয়ে বিল্ডিংয়ের কোনও অফিসই খুঁজে পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি মাঝে মধ্যে সেখানে একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তবে অফিস নেই। তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।