Social media rules for para military: উর্দি পরে সেলফি না, অচেনা লোকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ নয়, নির্দেশ আধা সেনাদের

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যত বাড়ছে প্রতারণার ফাঁদও তত বাড়ছে। বিশেষ করে আগের তুলনায় অনেক বেশি হানি ট্র্যাপের শিকার হচ্ছেন সেনা এবং অধাসেনা জওয়ানরা। সুন্দরী মহিলা সেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করে সেনা এবং আধা সেনা জওয়ানদের কাছ থেকে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে পাক গুপ্তচররা। এই পরিস্থিতিতে আধা সেনার জওয়ানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বাহিনী। সিআরপি, আইটিবিপি এবং বিএসএফের মতো আধা সেনার জওয়ানদের এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাহিনী।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে পাক গুপ্তচর!

চিঠিতে জানানো হয়েছে, অনেক সময় সেনা জওয়ানরা সংবেদনশীল জায়গায় উর্দি পড়ে ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। অনেকেই তাঁদের ফ্রেন্ড লিস্টে থাকেন আবার অনেকে তাঁদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় পাক গুপ্তচররা তাঁদের সঙ্গে চ্যাট করে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই চিঠি পাঠিয়ে সংবেদনশীল জায়গার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা যাবে না এই মর্মে আধাসেনা জওয়ানদের সতর্ক করেছে সিআরপি। সেক্ষেত্রে নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এর পাশাপাশি বিএসএফ এবং আইটিবিপি সীমান্তবর্তী এলাকায় উর্দি পড়ে কোনও ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাছাড়া কোনও অচেনা ব্যক্তি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে তা গ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জওয়ানদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সে ক্ষেত্রে আধিকারিকরা স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আপত্তি জানিয়েছে। কারণ জওয়ানরা পরিবার ছেড়ে অনেক দূরে সীমানায় কর্তব্যরত অবস্থায় থাকেন। এই অবস্থায় স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিয়ো কলে পরিবারের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করে থাকেন। ফলে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চায়না বাহিনী। তবে সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ মানতে হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।।

প্রসঙ্গত, অতীতে বহু সেনা জওয়ান পাক গুপ্তচরের কাছে হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। চলতি মাসে বিশাখাপত্তনমে এক সিআইএসএফ জওয়ানের সঙ্গে পাক গুপ্তচরের যুক্ত থাকার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এছাড়াও, বিভিন্ন সময় পাক গুপ্তচররা সেনা জওয়ানদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়ে থাকে। সেই সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।