ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সৌদি আরবের কোচ মানচিনি

এই মাসে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইতালির কোচ পদ ছেড়েছেন রবার্তো মানচিনি। তখনও বোঝা যায়নি তার এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণ। অবশেষে জানা গেলে, বিপুল অঙ্কের বেতনে সৌদি আরবের জাতীয় দলের কোচ হয়েছেন তিনি।

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ইতিহাসের জন্ম দেওয়া সৌদি এতদিন কোচহীন অবস্থাতে ছিল। হার্ভে রেনার্ড ফ্রান্সের নারী ফুটবল দলের দায়িত্ব নিয়ে চলে গেছেন।

৫৮ বছর বয়সী মানচিনি ইতালিকে ২০২০ ইউরো জেতালেও আজ্জুরিদের গত বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তিটি চার বছরের। নতুন চুক্তির পর মানচিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরবের জাতীয় দলের জন্য এই প্রস্তাব পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। আমার বিশ্বাস নতুন দেশে এই সুযোগটা আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতার। বিশেষ করে এশিয়ার মতো জায়গায় যেখানে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে।’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব। দেশটিতে ফুটবলের উন্নয়নে তারা গণহারে বিনিয়োগ করছে। যার প্রমাণ সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবলেই দেখা গেছে। ইউরোপের বড় বড় তারকাদের লোভনীয় প্রস্তাবে ভেড়াচ্ছে। সম্প্রতি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন। কোচদের বেলাতেও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে। ইতালির ক্রীড়া দৈনিক লা গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন ইউরো বেতনে মানচিনির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে সৌদি। যদিও সৌদি ফুটবল ফেডারেশন মানচিনির বেতন সংশ্লিষ্ট কোনও তথ্য দেয়নি।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর মানচিনির প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে ৮ সেপ্টেম্বর প্রীতি ম্যাচে। সেন্ট জেমস পার্কে তাদের প্রতিপক্ষ কোস্টা রিকা। এই মাঠটি ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসলের ঘরের মাঠ। যার মালিকানায় রয়েছে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। ১২ সেপ্টেম্বর আরেকটি প্রীতি ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার। 

সবুজ বাজপাখি তথা সৌদি আরবের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)- এ মানচিনিকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সাদা শার্ট ও সবুজ টাই পরা অবস্থায় তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপে ইতিহাস গড়েছি, এখন সৌদি আরবের হয়ে ইতিহাস গড়ার পালা।’