Organ donation: ১৪০ কোটির দেশে অঙ্গদানের হার কত জানেন? শুনলে চমকে যেতে পারেন

১৪০ কোটি মানুষের দেশ এই বিশাল ভারতবর্ষ। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মজবুত রাখা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। এর জন্য চিকিৎসক ও নার্সরা দিনরাত এক করে খেটে চলেছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে সখধারণ মানুষেরও ভূমিকা রয়েছে। যেমন ধরা যাক অঙ্গদান। কোনও রোগীর অঙ্গ বিকল হয়ে গেলে তার নতুন অঙ্গ দরকার। অথচ অঙ্গ দেবে কে? সারা দেশে অঙ্গদানের হার একেবারেই তলানিতে। ১৪০ কোটি মানুষের দেশে অঙ্গদানের হার শুনলে একটু চমকে যাওয়া স্বাভাবিক। ২০২২ সালে এই বিষয়ক তথ্য পেশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যায় গোটা বছরে ১৬৪৯১ জন অঙ্গদান করেছেন। যা অঙ্গদানের চাহিদাকে সেভাবে ছুঁতেই পারেনি। বর্তমানে ভারতে অঙ্গের চাহিদা অনেকটাই বেশি। সেই তুলনায় অঙ্গদাতার সংখ্যা একেবারেই কম। 

(আরও পড়ুন: প্রজ্ঞানের ভিতর তাবড় তাবড় যন্ত্র! কী উদ্দেশ্যে এসব পাঠাল ইসরো? রইল হদিশ)

কতজন অঙ্গদাতা আদতে জরুরি?: অঙ্গদানের সংস্থার সঙ্গে জড়িত এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন এই সংখ্যা। তাঁর কথায়, প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় অন্তত ৬৫ জন অঙ্গদাতা জরুরি। অর্থাৎ ১৪০ কোটির হিসেবে প্রায় ১ লাখ অঙ্গদাতা জরুরি। প্রতি বছর এতজন অঙ্গদাতা পাওয়া রীতিমতো মুশকিল। অঙ্গের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অঙ্গ ঠিকমতো পাওয়া গেলে চিকিৎসার পদ্ধতিও দ্রুত করা হয়। এমনকী রোগীকে ঠিক সময়ে বাঁচিয়ে তোলা পম্ভব হয়। 

(আরও পড়ুন: দাঁতেই নাকি রয়েছে বড় বড় রোগের হদিশ, কী করে বিজ্ঞানীরা টের পেলেন)

বেঁচে থেকেও অঙ্গদান সম্ভব: টেকনো ইন্ডিয়া ডামা হেলথকেয়ারের চিকিৎপক শাহনাওয়াজ পুরকাইত বলেন, জীবিত অবস্থাতেও অঙ্গদান সম্ভব। এই অবস্থায় নিজের একটি লিভার ও একটি কিডনি অনায়াসে দান করা যায়‌। লিভার ও কিডনির রোগে দেশের অনেক মানুষ আক্রান্ত হন। তাই তাঁদের জন্য এই অঙ্গদান অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মরণোত্তর অঙ্গদান হিসেব চক্ষুদানও করা যেতে পারে। এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদে কথা বলেন দিশা আই হসপিটালের চিকিৎসক সোহম বসাক। তিনি বলেন, চক্ষুদান সম্পূর্ণ বৈকল্পিক। তবে মৃত্যুর পর নিজের চোখ দান করে গেলে এক অন্ধ মানুষের অনেকটা উপকার হয়‌। সেই দান করা চোখ আই ব্যাঙ্কে রাখা হয়। সেখান থেকে যে রোগীর প্রয়োজন, তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা পান।