Video Message of UP Teacher: একটা ভুল হয়ে গেছে, কিন্তু…মুসলিম ছাত্রকে চড়ে উসকানি, ভিডিয়োবার্তা শিক্ষিকার

উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী। তার উসকানিতেই এক মুসলিম ছাত্রকে পর পর চড় মেরেছিল তার সহপাঠীরা। এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় দেশ জুড়ে। তবে এবার সেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন। নেহা পাবলিক স্কুলের সেই শিক্ষিকার বয়স ৬০ বছর। তিনি ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন,

আমি একটি ভুল করে ফেলেছি। কিন্তু তার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম কোনও ব্যাপার নেই। বাচ্চারা হোম ওয়ার্ক করেনি। আসলে আমার লক্ষ্য ছিল তাকে শিক্ষা দেওয়া। খবর এনডিটিভি সূত্রে।

তিনি জানিয়েছেন, আমি ভালো করে দাঁড়াতে পারি না। সেকারণে অন্যান্য বাচ্চাদের বলেছিলাম তাকে কয়েকটা চড় মারতে যাতে সে ঠিকঠাক করে পড়াশোনা করে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আমার ওই ভিডিয়ো বিকৃত করা হয়েছে। আমি জোড়হাত করে বলছি যে আমি ভুল করেছি। কিন্তু আমার মনের মধ্য়ে কোনও হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ব্যাপার নেই। বহু মুসলিম পড়ুয়ার অভিভাবকরা টাকা দিতে পারেন না। আমি তাদের বিনা পয়সায় পড়াই। মুসলিম শিশুদের অত্যাচার করার মতো কোনও মতলব আমার ছিল না।

এদিকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে যে ধারা আনা হয়েছে তার জামিনযোগ্য। তার জেরে তাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই কিছুটা বিমর্ষ হয়ে রয়েছে ক্লাস ২এর ওই ছাত্র। ভালো করে ঘুমোতে পারেনি। আসলে সাংবাদিক সহ অনেকেই তাকে ঘটনার ব্যাপারে যেভাবে বার বার প্রশ্ন করেছে তাতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে সে। তবে ডাক্তারবাবু বলেছেন আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে সে।

তবে শোনা যাচ্ছে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগীর সঙ্গে আপোসে আসতে চাইছে ওই পরিবার। এনিয়ে শিশুর বাবা জানিয়েছেন, আপোসের কোনও ব্যাপারই নেই।

ইতিমধ্যেই মুজফ্ফরনগর বেসিক শিক্ষা অধিকারী শুভম শুক্লা জানিয়েছেন, যদি ওই ছাত্রের বাবা রাজি থাকে তবে তাকে সরকারি স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।