বালি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল পাকিস্তান, পাক চরকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

পাক চরকে জেরা করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে। আগে ভুয়ো সিম পাঠানো থেকে শুরু করে নানা নম্বর এবং ছবি পাঠিয়েছিল ধৃত পাক চর ভক্তবংশী ঝা। শেষমেশ বালি ব্রিজের ছবি তুলেছিল এই পাক চর। তার কারণ পাকিস্তান থেকে এই ছবি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। তাই ছবি তুলে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে সে। ধৃতের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সেই নথি মিলেছে বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। হানিট্র্যাপে ফাঁদে ফেলা পাক তরুণীই তাকে এই ছবি পাঠাতে বলেছিল। জেরায় সে কথা স্বীকার করেছেন ভক্তবংশী।

এদিকে রিপন স্ট্রিট থেকে চারদিন আগে এসটিএফ গ্রেফতার করেছিল ভক্তবংশীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মোবাইল ফোন। সেটা ঘেঁটে তদন্তকারীরা পাক তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ খুঁজে পায়। আর হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে নিয়মিত কথাবার্তার পাশাপাশি ভারতের সেনা ছাউনি, কোথায় কেমন ব্রিজ রয়েছে তার ছবি হাতে পান তদন্তকারীরা। নাশকতার জন্যই এই তথ্য সংগ্রহ করছিল আইএসআই বলে অনুমান তদন্তকারীদের। তারপরই জানা যায়, বালি ব্রিজকে উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা। তাই এই ছবি সংগ্রহ করা হয়েছিল। বালি ব্রিজের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে নয়াদিল্লিতে থাকার সময়ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি তুলেছিল ভক্তবংশী ঝা। সেগুলি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। নয়াদিল্লির ক্যুরিয়ার কোম্পানিতে কাজ করার পাশাপাশি এই কাজ সে চালিয়ে যাচ্ছিল। সংস্থার কর্মীদের কাছ থেকেও নানা ব্রিজের তথ্য জোগাড় করত। তারপর ওই ব্রিজের কাছে গিয়ে ছবি তুলত। তার পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপের ছবি ‘রিট্রিভ’ করে দেখা যায় বালি ব্রিজের ছবি পাঠানো হয়েছিল। সেটি ওই পাক তরুণীর মোবাইল নম্বরেই পাঠানো হয়। আর তার নেপথ্য রয়েছে বালি ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়ার ছক।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্যের দুই গায়ক–মন্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি, বিধানসভার করিডরে শুনল সকলে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তবে ভক্তবংশী ঝা জেরায় স্বীকার করেছে, পাকিস্তান থেকে নির্দেশ এসেছিল কলকাতার নানা সেতুর ছবি পাঠাতে। সেই সেতুর নিরাপত্তা কেমন রয়েছে, তাও পাঠাতে বলা হয়েছিল। হাওড়ায় থাকাকালীন সে বালি ব্রিজের ছবি তোলে। আর পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের তরুণীকে। ভক্তবংশী এখানের নিরাপত্তার তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে। আগামী দিনে আরও বেশকিছু সেতুর ছবি পাঠানোর কথা ছিল ধৃতের। তবে এই ব্রিজে নাশকতার কোনও পরিকল্পনা ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।