British museum: মিউজিয়াম থেকে দু’হাজারেরও বেশি জিনিস চুরি! ব্রিটিশ মিউজিয়ামের হাল খারাপ

খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতক থেকে উনিশ শতক।এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে দুই হাজার শিল্প সামগ্রী চুরি হয়ে গিয়েছে ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে। কোথায় কীভাবে চুরি হয়েছে, তা কেউ জানে না। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই শিল্প সামগ্রীর বিভিন্ন অনলাইন বেচাকেনার সাইটে বিকোচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সেগুলিকে চিহ্নিত করে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। এমনটাই সম্প্রতি জানিয়েছেন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।

(আরও পড়ুন: ওজন কমানো থেকে হার্ট ভালো রাখা, একটি ফলই নাকি পারে আয়ু বাড়াতে! নামটি কী)

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান হলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন। এই দিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুই হাজার শিল্প সামগ্রীর মধ্যে বেশ কয়েকটি সামগ্রী ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা সত্যিই সৎ। তাঁরা সব ঘটনা জানার পর শিল্প সামগ্রীগুলি ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আবার এমন কয়েকজন ক্রেতাও আছেন, যাঁদের কাছ থেকে জিনিস ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’ সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে সোনা ও মূল্যবান পাথরের অনেক গয়না। চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় মূলত রয়েছে মিউজিয়ামের একটি স্টোররুমে রাখা একটি শিল্পকর্মের টুকরো টুকরো অংশ । 

(আরও পড়ুন: কিছুতেই বেশিক্ষণ মন বসে না কাজে! কী করলে মনোযোগ বাড়বে? রইল ৪ উপায়)

এই গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে রয়েছে ব্রিটিশ মিউজ়িয়াম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে এক ডাচ শিল্প সংগ্রাহক সবার আগে বিষয়টি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কর্তৃপক্ষ তখন জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু অসবোর্ন সম্প্রতি তাঁর কথায় স্বীকার করে নেন, সেই তদন্ত অসম্পূর্ণ ছিল। শুক্রবারই আচমকা পদত্যাগ করেছেন জাদুঘরের ডিরেক্টর হার্টউইগ ফিশার। নাম প্রকাশ করা হয়নি এমন এক কর্মীকেও এই দিন ছাঁটাই করা হয়েছে কাজ থেকে।

অসবোর্ন অবশ্য জানাচ্ছেন, চুরি যাওয়ার ব্যাপারটাকে তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা মেনে নিচ্ছি, মিউজিয়ামের কারও কারও গাফিলতিতে এমনটা হয়েছে। এর জন্য আমরা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। বর্তমানে সমস্যাগুলিকে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিটিশ মিউজিয়াম আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। এটি এমন এক উচ্চতায় পৌঁছবে যাকে নিয়ে ব্রিটেন ছাড়াও গোটা বিশ্ব গর্ব করবে।’