Human trafficking: যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার বাংলাদেশি নাবালিকা, গ্রেফতার ৩ পাচারকারী

যৌনপল্লীর কাছে একাই সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এক নাবালিকা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় ওই নাবালিকা একজন বাংলাদেশি। অবশেষে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় নারী পাচার চক্রের যোগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই নাবালিকাকে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এসে যৌনপল্লীতে পাচার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় পুলিশ এক দম্পতি সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। দুর্গাপুরের কাদারোড যৌনপল্লী থেকে ওই বাংলাদেশী নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

আরও পড়ুন:কাজের লোভ দেখিয়ে যৌনপল্লিতে পাচারের ছক, শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি মহিলা

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত ওয়ারিয়া ফাঁড়ির কাদারোড যৌনপল্লীতে রবিবার রাতে ওই নাবালিকাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন দুর্বার সমিতির প্রতিনিধিরা। তাঁরা মেয়েটির কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পেলে তার কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চান। কিন্তু কোনও পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি ওই নাবালিকা। পরে দুর্বারের সদস্যরা জানতে পারেন ওই নাবালিকা আসলে একজন বাংলাদেশি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানান দুর্বার সমিতির সদস্যরা। পরে পুলিশ এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। 

অন্যদিকে, পুলিশ নাবিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক দম্পতি ও এক যুবককে প্রথমে আটক করে ও পরে তাদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কোনও নারীপাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিল ওই নাবালিকা। চক্রে জড়িতরা নাবালিকাকে কাদারোড যৌনপল্লীতে নিয়ে এসেছিল। ওই যুবক কাজের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে বেআইনিভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে পশ্চিমবাংলায় নিয়ে এসেছিল। তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দুর্গাপুরের একটি বেকারি কারখানায় চাকরি দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই পাচারকারীরা তাকে রাজ্যে নিয়ে এসেছিল। এরপর পানাগড়ের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী সাইনুর বিবির কাছে ওই নাবালিকাকে রাখা হয়েছিল। তারাই নাবিকাকে যৌনপল্লীতে নিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অন্যদিকেও যুবকের নাম পাপ্পু রজক। 

জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে বেশ কয়েক মাস দুর্গাপুরের একটি বিউটি পার্লারে রাখা হয়েছিল। সেখানে বিউটি পার্লারের আড়ালে নাবালিকাকে দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পান্ডে জানান, নাবালিকাকে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। কে তাকে দুর্গাপুরে নিয়ে এসেছিল? বাড়ি কোথায়? সেখান থেকে কীভাবে এখানে এসেছে? এসব তদন্ত করা হচ্ছে।

দুর্গাপুরের দুর্বার সমিতির সম্পাদিকা রানি রায় জানান, তিনি অফিস বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় ওই মেয়েটিকে রাস্তায় দেখতে পান। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পরিচয় পত্র দেখতে চান। কিন্তু পরিচয় পত্র না পেয়ে শেষে হয়ে নাবালিকাকে তিনি পুলিশের হাতে তুলে দেন। আজ নাবালিকা এবং ধৃতদের আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে।