Madrasah Service Commission: কেন হাইকোর্টের নির্দেশেও মেলেনি চাকরি, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে প্রশ্ন আদালতের

গত বছর পাঁচজন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসার সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, এতদিন কেটে যাওয়ার পরেও ওই পাঁচজন প্রার্থীকে নিয়োগ করেনি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। সেই সংক্রান্ত মামলায় অবিলম্বে ৫ জন প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ওই দিন রাত ১২ টার মধ্যে আবেদনকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আজ মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। তাতে নির্দেশ পালন সংক্রান্ত রিপোর্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মাদ্রাসার জন্য বিশেষ কমিটি, অনথিভুক্তদের খতিয়ে দেখার আশ্বাস মমতার

মামলার বয়ান অনুযায়ী, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন আকমল হোসেন সহ ওই চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা সকলেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারপরেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। উলটে প্রশিক্ষণহীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে চাকরিতে। এই নিয়ে তাঁরা মামলা দায়ের করেন ২০২২ সালে। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এরপর ওই বছরের জুন মাসে বিচারপতি কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশিক্ষণহীনদের সরিয়ে আবেদনকারীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করতে হবে। এছাড়াও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি। শুধু তাই নয় মামলার শুনানিতে আবেদনকারীদের ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশের এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও আবেদনকারীদের নিয়োগ করা হয়নি। এই অবস্থায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন প্রার্থীরা। তাঁরা মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন।

সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলায় চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অন্যদিকে, সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের আইনজীবী আদালতকে জানান, সেই মামলা চলছে। আজ মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

মামলাকারীর আইনজীবীরা জানান, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু তা না করে প্রশিক্ষণহীনদের অগ্রাধিকার দেইয়া হয়েছে। এদিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ গোলাম আনসারী। নির্দেশ অমান্য করায় কমিশনের চেয়ারম্যানকে তিরস্কার করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এতদিন ধরে কি করছিলেন? এখন কেন সময় চাইছেন? তারপরে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলার কথা জানায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। তবে তা মানতে চাননি বিচারপতি। তিনি সোমবার রাতের মধ্যেই নিয়োগ করার নির্দেশ দেন।