Sutapa Chowdhury: বহরমপুরে সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত

বহরমপুরের গোরাবাজারে কলজে ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। গত বছর ২মে হাড় হিম করা এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। জনবহুল এলাকায় সবার চোখের সামনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে সুতপাকে কুপিয়ে খুন করেন সুশান্ত। তার অন্য হাতে ছিল একটা বন্দুক। যার ভয়ে সুতপাকে বাঁচাতে এগিয়ে যেতে পারেননি কেউ। পরে জানা যায় সেটি একটি খেলনা বন্দুক।

গত বছর ২ মে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ খুন হন মালদার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সুতপা। সুশান্তর খপ্পর থেকে বাঁচাতে মেয়েকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর মালদা থেকে বহরমপুরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সুতপার বাবা। তাও শেষরক্ষা হয়নি। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় সুতপাকে মেসের দরজার সামনে নৃশংসভাবে খুন করে সুশান্ত। সুশান্তর বাড়িও মালদায়।

ওই ঘটনায় সেই রাতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পালানোর সময় সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাকা চেকিং দেখে গাড়ির নীচে লুকিয়ে পড়েছিল সে। সেখান থেকে তাঁকে টেনে বার করেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় সুশান্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তে পুলিশ জানায়, পরিকল্পনামাফিক সুতপাকে খুন করেছে সুশান্ত। সেজন্য সে মালদা থেকে বহরমপুরে এসে মেস ভাড়া করে ছিল। পালানোর রাস্তা তৈরি করতে অনলাইনে খেলনা বন্দুক কেনে সে। খুনের কয়েকদিন আগে থেকেই সুতপার ওপর নজর রাখছিল সে। খুনের দিন সুতপা তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে শহরের একটি শপিং মলে যান। ফেরার সময় তাঁকে অনুসরণ করতে থাকেন সুশান্ত। সুতপার মেসের ঠিক সামনে তাঁর ওপর পিছন থেকে হামলা চালায় সে।

পুলিশ জানিয়েছে, সুতপার দেহে ৪২টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শুনানি চলাকালীন এই মামলায় মোট ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পেশ করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, সিসিটিভি ফুটেজ ও এক প্রত্যদর্শীর রেকর্ড করা ফুটেজ। মঙ্গলবার সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষকুমার পাঠক। বুধবার সাজা ঘোষণা করবেন তিনি। সুশান্তর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে সুতপার পরিবার।