কাকা অনুব্রতর গ্রেফতারি বার্ষিকী পালন করলেন ভাইপো অনুপম, দেদার বিলি গুড় বাতাসা

সালটা ২০২২। রাখিপূর্ণিমার দিন গরুপাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। এখনও কেষ্ট তিহাড় জেলে বন্দি। সেক্ষেত্রে আজ, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির ‘বর্ষপূর্তি’। আর সেটাই পালন করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। একদা অনুব্রতকে ‘কাকা’ বলে ডাকতেন। ফলে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো। এই বর্ষপূর্তি পালন করতে গিয়ে অনুপমের মন্তব্য, ‘একসময় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন উনি। তাই ওনার পছন্দের গুড়–বাতাসা, নকুলদানা খাইয়ে রাখির দিন সবার মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করলাম আমরা।’ পালটা তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘বীরভূমে বিজেপি বলে কিছু নেই। প্রচার পেতে এসব বলছে।’

আজ, রাখী উৎসব উপলক্ষ্যে সারা রাজ্য মেতে উঠেছে। আজ, বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনুব্রত মণ্ডলের ‘গ্রেফতারির বর্ষপূর্তি’ পালন করেন অনুপম হাজরা। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে রাখির দিনই নিচুপট্টির বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আজ, বুধবার সেই রাখির দিন। তাই অনুপম হাজরা এখন সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে বিশ্বভারতীর সামনে জড়ো হয়ে একে অপরকে রাখি পরিয়ে দেন। মিষ্টিমুখ করা হয় গুড়–বাতাসা, নকুলদানা দিয়ে।

এদিকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির এই অনুপম হাজরা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন। অনুব্রত তখন দাবি করেছিলেন, মাছ–ভাত খেয়েছেন অনুপম। তারপরই অনুপম তখন বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের অফিসে গিয়ে মাছ–ভাত খেয়েছি না কি ভোগের প্রসাদ খেয়েছি সেটা খতিয়ে দেখা হোক।’ অনুব্রতও তখন বলেন, ‘কেউ কারও বাড়ি এলে তাঁকে খাবার দেওয়া আমাদের‌ কালচার। ওকে খেতে বলে কোনও অন্যায় করিনি।’‌

আরও পড়ুন:‌ বোরোলিনের বিক্রি বেড়ে গেল কী করে?‌ নেপথ্য কাহিনী সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী

আর এখন কে, কি বললেন?‌ অন্যদিকে এই বর্ষপূর্তি পালন করে তাঁদের উপর ভরসা যাতে মানুষের বাড়ে সেই চেষ্টা করা হল। তারপর সাংবাদিকদের অনুপম হাজরা বলেন, ‘২০২২ সালে রাখিপূর্ণিমার দিন অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। আমাদের বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। তাই গ্রেফতারের দিনকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। এটা বিজেপি কর্মীদের কাছে মুক্তির দিন। রাখি উৎসব পালনের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল যে সব জিনিস পছন্দ করেন—গুড়, বাতাসা, নকুলদানা, সেগুলি বিলি করছি।’‌ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি এখানে কিছু নেই। প্রচারে আসার চেষ্টা করছে। আর আমরা বিশ্বাস করি, অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শীঘ্রই ফিরে আসবেন। আর মানুষের জন্য কাজ করবেন।’‌