‘পুকুর নদী বুঝিনা..অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’, পদ কেড়েছে কংগ্রেস, তবে কি সৎসঙ্গ খুঁজছেন কৌস্তভ?

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। হাটে বাজারে মাঠে ময়দানে, টিভির শোতে তিনি এক ইঞ্চি জমিও তৃণমূলকে ছাড়েন না। এমনকী তৃণমূলের হঠানোর পণ রক্ষার জন্য সাধের চুলগুলোও বিসর্জন দিয়েছেন। তবুও কার্যত দলের অন্দরে কোণঠাসা তিনি। এমনকী মুখপাত্রের তালিকা থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। এরপরই ফের ফেসবুকে বিস্ফোরক কৌস্তভ বাগচি। তৃণমূলকে চোর বলার জন্য সবসময় তৈরি তিনি।

তিনি লিখেছেন, ‘পুকুর নদী বুঝি না। দিল্লির স্বার্থে আর গিনিপিগ হতে রাজি না। তৃণমূল আমাদের চোখে চোর ছিল। আছে ও থাকবে। তৃণমূল আমাদের চোখে গণতন্ত্রের হত্যাকারী ছিল, আছে ও থাকবে।’

এছাড়াও লিখেছেন, ‘নদী পুকুর বুঝি না, আমরা একটা কথা স্পষ্টভাবে বুঝি, সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’

তিনি ফেসবুকে একথা লিখতেই কমেন্টের বন্যা। একজন লিখেছেন বামফ্রন্টের যে কোনও দলে চলে আসুন। অপরজন লিখেছেন, আপনার মতো নির্ভীক মানুষের জন্য আদর্শ রাজনৈতিক দল নেই বললেই চলে অথচ লড়াকু মনোভাব জিইয়ে রাখতে হলে রাজনৈতিক ছাতা আবশ্যিক। জানি না কবে প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পাব। অপর একজনের পরামর্শ, নিজেকে যদি বার বার অপমানিত বোধ করেন তাহলে আপনি দলত্যাগ করুন। এক নেটিজেন লিখেছেন , মান ইজ্জত থাকলে কংগ্রেস ত্যাগ করুন।

কৌস্তভ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তৃণমূল নেত্রী বিপদে পড়লে যার তার পা ধরে ফেলেন। আমায় একটু জায়গা দাও মা…তার ভাইপো চলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধীর কাছে। তবে রাহুল গান্ধী আগেই বলেছেন, নফরত কি বাজার মে মহব্বত কি দুকান খুলা হ্যায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীরা চিৎকার করে বলছেন সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।যত শীঘ্র বুঝবেন ততই মঙ্গল। তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা নয়। যারা কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করতে চেয়েছিল তাদের সঙ্গে কোনও বোঝাপড়ায় আসতে কংগ্রেস কর্মীদের প্রচন্ড অসুবিধা হবে।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চায়। কোনও আসন সমঝোতায় যেতে চায় না। এই বক্তব্যে কারোর কোনও অসুবিধা হলে আমার কিছু করার নেই। কোনও নেতার প্রতি দায়বদ্ধ নই। দলের প্রতি দায়বদ্ধ। তৃণমূলকে চোর বলার দায়ে নাকি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা যদি অপরাধ হয় তবে আমি ডোন্ট কেয়ার দল আমার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে।