Manipur Violence: নতুন করে উত্তপ্ত মণিপুর, ২ দিনে সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু

২৯ অগস্ট থেকে গোষ্ঠীসংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে নতুন করে শুরু হওয়া হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুকি অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুর জেলায় গুলির লড়াই চলার সময় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুজনের মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশী বিষ্ণুপুর জেলায় যেখানে মেইতেইরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

চুরচাঁদপুরের পুলিশ সুপার কার্তিক মাল্লাদি জানিয়েছেন,’ বুধবার গুলির লড়াই চলার সময় দু’জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনকে মিজোরামে আইজলে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে, অন্যজন বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান।’

বৃহস্পতিবার চুরাচাঁদপুরে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার গুলির লড়াইয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের নাম এল এস মাংবোই লুংডিম (৪২), এবং হেমখোলুন গুইতে (৩৬)। এদের মধ্যে লুংডিম একজন বিশিষ্ট গীতিকার ছিলেন, গুইতে ছিলেন একজন গ্রাম প্রতিরক্ষার স্বেচ্ছাসেবক।

(পড়তে পারেন। মুম্বইয়ে জোট বৈঠকের আগে সাত সকালে দিল্লিতে বসলেন অভিষেক-রাহুল, কী নিয়ে কথা?)

(পড়তে পারেন। আদানির সঙ্গে চিনের চ্যাং চুংয়ের এত মাখামাখি কেন? মোদীকে নিশানা রাহুলের)

বৃহস্পতিবার নিহত দু’জনের মধ্যে পাওকাম কিপগেম নামে এক ব্যক্তির বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন পাউ সোনলেমের বুলেটের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। চুরাচাঁদপুরে নিহত চারজনই কুকি বলে জানা গিয়েছে।

বিষ্ণুপুরের ডেপুটি কমিশনার লরেনবাম বিক্রম বলেন,’ বৃহস্পতিবার আমাদের জেলায় বন্দুকযুদ্ধে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা দু’জনই আমাদের জেলার। এর আগে মঙ্গলবার একজনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে আমাদের জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনে।’

মঙ্গলবার সকাল থেকে উভয় জেলার সীমান্ত এলাকায় নতুন করে গোলাগুলির খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার দুজন মারা যায় এবং সাতজন আহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় কয়েক ঘণ্টার জন্য গুলি চলা বন্ধ থাকলেও রাত বাড়তেই আবার তা শুরু হয়।

কার্তিক মল্লাদি বলেন,’রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি লীমান্ত এলাকায় গুলির লডাই হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানান, লোনফাই, খৌসাবুং, কাংভাই এবং সুগনু এলাকায় এখনও সংঘর্ষ চলছে। একটি কুকি সংগঠনের পক্ষ থেকে চুরাচাঁদপুর এলাকায় বনধ ডাকা হয়েছে। চিকিৎসা, পুলিশ, জল, বিদ্যুৎ, সংবাদমাধ্যমের মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।