রাজ্যে পা রাখছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে কড়া পদক্ষেপ

আর একদিন পর অগস্ট মাস শেষ হয়ে যাবে। আর সেপ্টেম্বর মাস পড়লেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। এখানে ৫ তারিখ উপনির্বাচন আছে। আর তার জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এই উপনির্বাচন ত্রিমুখী। বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম–কংগ্রেস জোটের লড়াই হবে। এখানে যাতে কেউ কোনওরকম অভিযোগ তুলতে না পারে তার জন্যই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে ধূপগুড়িতে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।

এদিকে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রবল হিংসার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তাই এই অভিযোগ বিধানসভার উপনির্বাচনে উঠুক সেটা চাইছে না নির্বাচন কমিশন। এই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে কড়া নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। সেই মতোই এবার মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে একটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে চলেছে। গত ২৫ জুলাই ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হয়। ফলে এই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। তারপরই উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগণনা। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৭ অগস্ট।

অন্যদিকে জুলাই মাসে কলকাতায় বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিধায়কের। সেই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। তবে এখন এই আসনটি বিজেপির ধরে রাখাটা কার্যত চ্যালেঞ্জের। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের ফল ভাল হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস আসনটি জিতে উত্তরের জেলায় বিজেপিকে চাপে রাখতে চাইছে। বিধায়ক সংখ্যাও বাড়াতে চায় শাসকদল। আর বাম–কংগ্রেস জোট চাইছে শাসক–বিরোধীর ভোট কাটাকাটিতে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে নিতে। তাহলে বিধানসভায় অন্তত একটি প্রতিনিধি থাকবে।

আরও পড়ুন:‌ রাজ্যে এবার ‘‌হাড় ব্যাঙ্ক’‌ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনে পড়ল একাধিক আবেদন

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ চলতি মাসেই বদলি করা হয়েছে ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাসকে। তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। তবে এখন ধূপগুড়ির বিডিও পদে আনা হয়েছে জয়ন্ত রায়কে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনায় শঙ্খদীপ দাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বুথে ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল। ভোটকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হয়েছিল ৪৭টি ব্যালট। এমনকী পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে তলব করা হয়েছিল বিডিও শঙ্খদীপ দাসকে। তার মধ্যেই তিনি বদলি হন।