SSC appointment: মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি, নিয়োগের নির্দেশ আদালতের

নবম–দশমের শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দুই প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট অবিলম্বে ওই দুই প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে বলে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

আরও পড়ুন: SSC 2023-এর CGL, CHSL, JE ও SI পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত, কিছু তথ্য একনজরে

ওই দুই চাকরি প্রার্থীর নাম হল সালমা সুলতানা এবং রিক্তা চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অভিযোগ, কাউন্সেলিং ছাড়া ইংরেজি বিভাগে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০১৬ সালের এসএলএসটি পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছিলেন সুলতানা। তাঁর দাবি, তিনি মেধা তালিকায় তিনি ২০৮ নম্বরে স্থান পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। এরপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় আদালত কাউন্সেলিং করে সুলতানাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু, সুলতানা ইন্টারভিউ দিলেও তাঁকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। অথচ তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশপত্র এবং নিয়োগ পত্র প্রদান হয়েছে। এসএমএসে তাঁকে নিয়োগের কথা জানানো হয়। 

বুধবার আদালতে রিপোর্ট দিয়ে কমিশন জানায়, দুই প্রার্থীর মতোই ২০০ এর বেশি প্রার্থী রয়েছেন যাদের এসএমএসের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের হার্ড কপি  দেওয়া সম্ভব হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, সুলতানা যে স্কুলের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই স্কুলে শূন্য পদ নেই। ফলে তাকে এখনও নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এরপরে বিচারপতি বসু ওই দুই চাকরি প্রার্থীকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আরেকটি মামলার শুনানি হয়েছে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সংক্রান্ত মামলায় প্রার্থীর অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি দেখতে চেয়েছে আদালত। ওই প্রার্থীর নাম আমনা পারভিন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত ১৭ জুলাই তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার পর দেখা গেছে ওই প্রার্থীর যোগ্যতা নেই। সেই সংক্রান্ত মামলায় ওই ভিডিয়োগ্রাফি নিজেই খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।