Sutapa Murder Case: সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

বহরমপুরে কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনে স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বহরমপুর আদালতের ফার্স্ট ট্রাক কোর্ট। বৃহস্পতিবার সাজা নিয়ে ২ পক্ষের সওয়াল জবাবের পর সুশান্তকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন বিচারক সন্তোষকুমার পাঠক। সাজা শুনে কোর্ট লকআপেই জ্ঞান হারান সুশান্ত।

মঙ্গলবার এই মামলায় সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বৃহস্পতিবার ছিল সাজা ঘোষণার দিন। সুতপার পরিবার ও সরকারি আইনজীবী প্রথম থেকেই মৃত্যুদণ্ডের সাজার দাবি করেছিলেন। এদিন সুশান্তর আইনজীবী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজার আবেদন করে প্রায় এক ঘণ্টা সওয়াল করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় তুলে ধরে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করেন তিনি। জানান, সুশান্তর বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই।

পালটা সওয়ালে সরকারি আইনজীবী বলেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। একজন তরুণী প্রেমের প্রস্তাবে না বলেছেন বলে তাঁকে এভাবে কুপিয়ে খুন করা যায় না। অভিযুক্ত কোনও ঘটনার অভিঘাতে খুন করেননি। তিনি রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন করেছেন। ৪২ বার কোপানো হয়েছিল সুতপাকে। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায় সে। এক স্থানীয় বাসিন্দা আহত সুতপার দিকে এগোতে গেলে তাঁকে সুশান্ত বলে, একটা খুন করলে যা হবে, ১০টা খুন করলেও তাই হবে। এই খুনের জন্য কখনও কোনও অনুতাপ লক্ষ্য করা যায়নি তাঁর মধ্যে। এই খুন শুধু একজন তরুণীর অকাল প্রাণহানি নয়, প্রেমের প্রস্তাবে তরুণীদের না বলার অধিকারের ওপর আক্রমণ।

দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ২ লাইনের রায়ে সুশান্তকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। রায় শুনে আদালতের লক আপেই জ্ঞান হারান সুশান্ত। জেলকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে জেলে নিয়ে গিয়েছেন। এই রায়ে খুশি সুতপার পরিবার। সুশান্তর পরিবারের তরফে এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ২ মে বহরমপুরের জনবহুল গোরাবাজারে ভর সন্ধ্যায় স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর হাতে খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। মালদার বাসিন্দা সুতপাকে সুশান্তর হাত থেকে বাঁচাতে বহরমপুর কলেজে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা। সেখানে মেসে থেকে পড়াশুনো করতেন তিনি। সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে মেসে ফেরার সময় মেসের গেটের সামনে তাঁর ওপর হামলা চালায় সুশান্ত। সেই ঘটনার ১৫ মাসের মধ্যে রায়দান করল আদালত।