Illegal firecracker factory: রাজ্যে ৫,৫৫৬ টি বেআইনি বাজি কারখানা, জল গড়াতে পারে পরিবেশ আদালতে

সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এগরা, মালদহ, বজ বজ এবং দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই দেখা গিয়েছে রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি। এতদিন ধরে কীভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই বাজি কারখানাগুলি চলছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় জাতীয় পরিবেশ আদালতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অমনাননার মামলা দায়ের করলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন অফিসার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: চিনির বস্তায় লুকিয়ে বিস্ফোরক, বোমা পাচার? দত্তপুকুরে ঘুরে শিউরে ওঠা দৃশ্য দেখল HT বাংলা

রাজ্যে সম্প্রতি বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উঠে এসেছে রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানার সংখ্যা হল ৫,৫৫৬ টি। অন্যদিকে, রাজ্যে বৈধ সবুজ কারখানার সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৭ টি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিকের বক্তব্য, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ সম্ভব নয়। কারণ অভিযান চালাতে গেলে সে ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতারাই বাধা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ ওই আধিকারিকের। তবে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় মনে করেন, এরকম চলতে থাকলে বিস্ফোরণ আটকানো যাবে না। তাই বিস্ফোরণের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা চলছে। সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত বহু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। তাতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সেই পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, গত ১২ বছরের রাজ্যে ২৬ টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের পর। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনার পর রাজ্য সরকার বেআইনি বাজি কারখানা বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত এগুলি চলছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনায় তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে পরিবেশ আদালতের কথা উল্লেখ করেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান পরিবেশ আদালত আগে একাধিকবার রাজ্য সরকারকে এবিষয়ে সতর্ক করেছে। সেক্ষেত্র রাজ্য সরকার আশ্বাসও দিয়েছে। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি, উলটে বেআইনি বাজি কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রসঙ্গত, এগরায় বিস্ফোরণের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে।