One Nation One Vote: এক দেশ-এক ভোট, নিয়ম কার্যকরী করতে রাজ্যের অনুমোদন লাগবে?

লোকসভা আর বিধানসভা ভোট একসঙ্গে! বাস্তবে কি এটা সম্ভব? এবার এনিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তার নোটিফিকেশনও হল। সেই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রাক্তন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ,পঞ্চদশ ফিনান্স কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ সুভাষ সি কাশ্যপ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রী হরিশ সালভে, প্রাক্তন চিফ ভিজিলান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই কমিটিতে অধীর চৌধুরীর নাম রয়েছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস এমপি অধীর চৌধুরীর এই কমিটিতে থাকা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের কতটা সায় থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গেই এই প্রস্তাবটা কার্যকরী করার জন্য সংবিধানের সংশোধনের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন দরকার বলেও খবর। তবে সবটাই খতিয়ে দেখবে নয়া কমিটি।

তবে এই কমিটি দ্রুত কাজ শুরু করে দেবে। তারা রিপোর্টও দেবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। এদিকে গেজেট নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে শুধু বিধানসভা বা লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে নয়, পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।

এদিকে এই প্রস্তাব নিয়ে নানা বিরূপ মতামতও উঠে আসছে। মূলত যদি ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়, যদি অনাস্থা প্রস্তাব আসে বা বিধানসভার বোর্ড কোনওভাবে ভেঙে দেওয়া হয় তখন তার ভোট কখন হবে তা নিয়ে নানা প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এমনকী একটি মাত্র ভোটার তালিকা ও ভোটার পরিচয়পত্র থাকলেই যে কোনও ভোটার যে কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

এদিকে পরিসংখ্যান বলছে অতীতে অন্তত চারটি ভোটের ক্ষেত্রে লোকসভা ও বিধানসভা একই সময় হয়েছিল। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এটাই ছিল রেওয়াজ। এরপর পরিস্থিতির বদল ঘটে। ১৯৬৮-৬৯ সাল নাগাদ একাধিক রাজ্য বিধানসভা আগেই ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর তাদের ভোটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর তখনই ফের ভোট আলাদা হয়ে যায়।