Sukanta Majumdar on Rajasthan Video: মণিপুরের মতো ঘটনা রাজস্থানে, মমতা চুপ কেন? নগ্ন মহিলার ভিডিয়ো নিয়ে তোপ সুকান্তর

রাজস্থানে ২১ বছর বয়সি এক আদিবাসী যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, মণিপুর নিয়ে সরব তৃণমূল কেন এই ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করছে। ঘটনার যে ভিডিয়ো সুকন্ত মজুমদার পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে, একজন পুরুষ জোর করে ক্যামেরার সামনে এক যুবতীকে বিবস্ত্র করছে। সেখানে আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিল। এরপর সেই যুবতীকে সেই অবস্থাতেই গ্রামে ঘোরানো হয়। এই আবহে সুকান্তর প্রশ্ন, মণিপুরে এই একই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস সরব হয়েছিল। সেখানে প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিল। তবে রাজস্থানের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চুপ?

এদিকে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এই নিয়ে লেখেন, ‘প্রতাপগড় জেলায় একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে যার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এক যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছে পারিবারিক বিবাদের জেরে। এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই সমাজে কোনও স্থান নেই। অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব জেলে ভরা হবে।’ আদিবাসী যুবতীকে নগ্ন করে ঘোরনোর ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অশোক গেহলট আরও বলেন, ‘আমি পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলেছি। কড়া হয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছি।’ এদিকে বিজেপি এই ইস্যুতে রাজস্থান সরকারকে তোপ দেগেছে। গেরুয়া শিবিরের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘রাজস্থান আবারও লজ্জিত হল’।

এদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্তকারীদের মোট ৬টি দল গঠন করা হয়েছে অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতার করার জন্য। প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপার অমিত কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতা যুবতীর স্বামী সহ মোট তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্ত স্বামী পুলিশকে দেখেই পালানোর চেষ্টা করে এবং সেই সময় চোট পায় সে এবং বাকিরা। এই আবহে আপাতত অভিযুক্তদের হাসপাতালে ভরতি রাখা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাদের। ধারিয়াওয়াদের এসএইচও পেশোয়ার খান বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে সেই নির্যাতিতা যুবতীর অন্য একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। এই আবহে তাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডিজিপি উমেশ মিশ্র জানান, সেই যুবতী অন্য় এক পুরুষের সঙ্গে থাকছিল অন্য এক গ্রামে। এই আবহে প্রতাপগড়ের সেই গ্রামে গিয়ে সেই যুবতীকে অপহরণ করে তার স্বামী এবং শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। এরপর যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়।