বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরকারের নিয়ম মানতে বাধ্য নন, বিজ্ঞপ্তি রাজভবনের

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত চলছে রাজ্যপালের। সেই আবহে শনিবার রাজভবনের তরফে একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তার ফলে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত আরও বাড়লো। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হবেন উপাচার্যই। তাঁর অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমস্ত কর্মী উপাচার্যের নির্দেশই মেনেই কাজ করবেন। অন্য কারও নির্দেশ মানবেন না। শুধু তাই নয়, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। যদিও রাজ্যপালের দাবি, পড়ুয়াদের সমস্যা দূর করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‌‘‌যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য’‌, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঙ্কার ব্রাত্যর

শনিবার রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে পাঠানো হয়।  দুদিন আগেই রাজভবন উপাচার্য নিয়োগ আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, পড়ুয়াদের ডিগ্রি, অন্যান্য জরুরি নথি না পাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিযুক্ত হওয়া না পর্যন্ত আচার্য তথা রাজ্যপালই সেই দায়িত্ব সামলাবেন। পড়ুয়ারা যেকোনও অভিযোগ সরাসরি রাজ্যপালকে জানাতে পারবেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেই ফের রাজভবনের নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নির্দেশেই কাজ করবেন সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্তারা। তাঁরা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। উপাচার্য সরকারি নির্দেশে মান্যতা দিলে সেটা কার্যকর করা হবে। তবে আচার্যকে সহযোগিতা করবেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রাররা। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টেও মামলা হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, উপাচার্য নিয়োগ করতে গেলে আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল। এটা বৈধ নয় বলেই দাবি রাজ্য সরকারের।  

যদিও রাজ্যপাল জানান রাজভবন থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উপাচার্যদের কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি। সেইসঙ্গে তিনি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যে আচার্য কোনওভাবে উপাচার্যের ভূমিকা পালন করছেন না বা পালন করতে পারেন না। পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।