Jadavpur University: আবদার রাখা হবে না! পড়ুয়াদের কথা মতো CCTV বসবে না, কড়া যাদবপুরের উপাচার্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি বসানো নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। পড়ুয়াদের দাবি, কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানো হবে, তা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। তবে পড়ুয়াদের সেই দাবি মানতে রাজি নয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের আবদার মানা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সিসিটিভি কোথায় লাগানো হবে, তা ইনস্টলের দায়িত্বে থাকা সংস্থা এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরা ঠিক করবেন। এই আবহে পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংঘাত শুরু হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে কোথায় বসছে CCTV, জানাতে হবে! অল স্টেক বৈঠকে দাবি ছাত্র সংগঠনগুলি

প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর পরেই সিসিটিভি বসানোর দাবি উঠেছিল। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল ও ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষ উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানায়। উচ্চশিক্ষা দফতর সেই আর্জি মেনে নেয়। অর্থ দফতর থেকেও মেলে আর্থিক সাহায্যের সবুজ সংকেত। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওয়েবেলকে দিয়ে এই কাজ করানো হবে।

শনিবার উপাচার্য জানান, পড়ুয়ারা এই ধরনের আবদার করলে কাজ করতে সমস্যা হয়। তাই যাঁরা সিসিটিভি লাগাবেন, তাঁরা ও নিরাপত্তা আধিকারিকরা ঠিক করবেন যে সিসিটিভি কোথায় বসানো হবে। যদিও কবে থেকে সিসিটিভি বসানোর কাজ শুরু হবে, সেই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি উপাচার্য। 

তিনি জানান, দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়া ও শিক্ষক সংগঠন ও গবেষক প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর ছাত্ররা দাবি জানিয়েছিলেন, তাদের জানাতে হবে কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে? তাছাড়া, সিসিটিভি নজরদারির দায়িত্বে কারা থাকবেন? সেই বিষয়টিও তাঁদের জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল সমস্ত পক্ষের মতামত নেওয়ার পরেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে রহস্যজনকভাবে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। সেই ঘটনায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্ত নেমে সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর পরে হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, ক্যাম্পাস ও হস্টেলে সিসিটিভি থাকতে হবে। এরপরেই সেখানে সিসিটিভি বসানোর দাবি ওঠে।