হাত পা বেঁধে গৃহবধূকে বস্তাবন্দি, শোরগোল ধূপগুড়িতে, তদন্তে পুলিশ

উপনির্বাচনের আগেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়িতে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি গৃহবধূকে উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য বোড়াগাড়ি এলাকায়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই গৃহবধূকে বস্তা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। কে বা কারা এ ধরনের কাণ্ড করল? তা খতিয়ে দেখছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মডেলের টোপ দিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, গ্ৰেফতার দুই বর্ধমানে

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম ফুলমালা সরকার বিশ্বাস। প্রায় ৫ মাস আগে মধ্য বোড়াগাড়ির বাসিন্দা জীবন বিশ্বাসের সঙ্গে ফুলমালা সরকারের বিয়ে হয়েছে। কর্মসূত্রে জীবন বিশ্বাস এবং তাঁর বাবা বাইরে থাকেন। ফলে বাড়িতে থাকেন ওই মহিলা এবং তাঁর শাশুড়ি। জানা যায়, ওই গৃহবধূ রবিবার বিকেল থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর তাঁর শাশুড়ি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও গৃহবধূর সন্ধান না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানান। এরপর প্রতিবেশীরা তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর রবিবার রাতে ওই গৃহবধূকে খুঁজে পান স্থানীয়রা। বাড়িতেই জ্বালানি কাঠ ও পাট কাঠি মজুত ঘরে কাপড় দিয়ে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি ছিলেন ওই গৃহবধূ। তবে তখন ওই গৃহবধূ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। তড়িঘড়ি ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। যদিও পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে কী উদ্দেশ্যে কে বা কারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে? তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। জানান, ‘ওই বাড়িতে শাশুড়ি ও বৌমা ছাড়া আর কেউ থাকেনা । আমরা বুঝতে পারছি না কে বা কারা কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাল?’

পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।  এবিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংদে ভুটিয়া ফোনে জানান, ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। গৃহবধূর দাবি, তাঁকে মাথায় আঘাত করে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছিল। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে তা তিনি দেখতে পাননি। এর ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।