Bangladesh News: ‘নোবেলজয়ী ইউনুসকে হেনস্থা বন্ধ করুন,’ চিঠি লিখলেন ওবামা, হিলারিরা, বিরক্ত হাসিনা

নোবেলজয়ী প্রফেসর মহম্মদ ইউনুসের উপর হেনস্থা বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিলেন বিশ্বের তাবড় ব্যক্তিত্বরা। তার মধ্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, প্রাক্তন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিন্টন, ভারজিন গ্রুপ ফাউন্ডার রিচার্ড ব্র্যানসন, ইউ২ লিড সিঙ্গার বোনো প্রমুখ রয়েছেন। সেই চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীর উপর বিচারবিভাগের নাম করে হেনস্থা বন্ধ করা হোক।

এদিকে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে বিরাট সফলতার জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তবে গত কয়েক বছর ধরেই মহম্মদ ইউনুসকে গরিবের শত্রু বলে মনে করতে শুরু করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসির রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউনুস এবার আন্তর্জাতিক সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মহম্মদ ইউনুস গরিবদের ব্যাঙ্কার হিসাবে পরিচিত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে বলে খবর। আইনের প্যাঁচে কার্যত তাঁকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যেভাবে বিচারবিভাগীয় হেনস্থা তাঁর উপর করা হচ্ছে ও সেটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত।

শেখ হাসিনা পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই ভদ্রলোকের যদি মনে হয় তিনি কোনও অপরাধ করছেন না তবে তিনি আন্তর্জাতিক স্তর থেকে এভাবে বিবৃতি আদায় করতেন না। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক দল তৈরির চেষ্টা করেছিলেন ইউনুস। তখন শেখ হাসিনা ছিলেন জেলে। এরপর থেকেই তিনি ইউনুসের উপর চরম বিরক্ত।

মাইক্রোফিনান্সের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইউনুস। একেবারে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ যাতে ঋণ নিয়ে ছোট ব্যবসা চালু করতে পারেন সেকারণেই তাঁর নানা কর্মকাণ্ড। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখে না। তাদের দাবি আসলে এভাবে গরীবদের রক্ত চোষা হয়। গরীবদের অসহায়তার সুযোগে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এই ধরনের ঋণের সুদের হার এতটাই বেশি থাকে যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না সাধারণ মানুষ।

তবে বিশ্বের একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তাঁদের মতে, এভাবে ইউনুসকে আইনের প্যাঁচে জর্জরিত করাটা ঠিক নয়। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন লিখেছেন, এই আইনের জাল থেকে মুক্তি দেওয়া হোক মহম্মদ ইউনুসকে।