Offbeat Darjeeling Pujo Tour: সুন্দরী শ্রীখোলার কাছেই থাকে এই সখী, সান্দাকফুর পথে কাটিয়ে আসুন দুদিন, নামটা জেনে নিন

এবার পুজোয় কি অন্য রকম কিছু ভাবছেন? মানে জীবনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করবেন? ভাবছেন এত কিছু তো হল জীবনে কিন্তু ট্রেকিংয়ের মজাটা নেওয়া হল না। তবে তাদের জন্য় রইল এই পাহাড়ি গ্রামের ঠিকানা। ৬৫৫০ ফুট উচ্চতায় এই পাহাড়ি গ্রাম।

আসলে অনেকেই জানেন দার্জিলিংয়ের ভালো ট্রেকিং রুট হল সান্দাকফু রুট। আর সান্দাকফু যাওয়ার পথে দুপাশে অপরূপ পাহাড়ি দৃশ্য। আবার সান্দাকফু থেকে নামার পথে অনেকেই পাহাড়ি গ্রামের খোঁজ করেন। আসলে কলকাতার সেই ভিড়ে ঠাসা বাসের কথা মনে পড়লেই মনে হয় নিরিবিলিতে আর দুদিন কাটিয়ে যাই। তাঁরা থাকতেই পারেন তিমবুরেতে। সান্দাকফু থেকে গুরদুম হয়ে শ্রীখোলা যাওয়ার পথে পড়ে তিমবুরে গ্রাম।

অনেকেই শ্রীখোলার নাম শুনেছেন। শ্রীখোলা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাতেও লেখা হয়েছে। নিঃসন্দেহে শ্রীখোলা অত্যন্ত সুন্দরী গ্রাম। আসলে এখানে নদীর টানে অনেকেই আসেন। আর সেই সুন্দরী শ্রীখোলা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে রয়েছে তিমবুরে। সবথেকে বড় কথা শ্রীখোলাতে তবু বেড়ানোর মরসুমে ভিড় থাকার সম্ভাবনা থাকে। মানে পাশের পাড়ার কাকা কাকিমার সঙ্গেও দেখা হয়ে যেতে পারে।

কিন্তু তিমবুরে সেই তুলনায় অনেকটাই নির্জন। ইদানিং কয়েকটি হোমস্টে গড়ে উঠেছে। সেখানে থাকতে পারেন। তবে আগে থেকে বুক করে যাবেন। বছরের যে কোনও সময়তেই যাওয়া যায়। এমনকী সমতলে যখন গরমকাল মানে মার্চ-এপ্রিলে গেলে আপনি রোডোডেনড্রন দেখতে পাবেন।

গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শ্রীখোলা নদী। এদিন ওদিক ঘুরে দেখুন আর ভোর থেক শুনুন পাহাড়ি পাখির ডাক। নদীর পাশেই ছবির মতো সুন্দর গ্রাম তিমবুরে। দিন দুয়েক থাকতেই পারেন। মন ভালো হয়ে যাবে।

কীভাবে যাবেন?

এনজেপি থেকে সরাসরি শ্রীখোলা আসতে পারেন। সেখান থেকে ট্রেকিং করে তিমবুরে। সেক্ষেত্রে বেশি লাগেজ না নিয়ে যাওয়াটাই ভালো। তবে একবার পৌঁছে গেলে পথশ্রমের সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

একেবারে কাছ থেকে দেখুন পাহাড়ি জীবনযাত্রা। নাগরিক কলুষতা স্পর্শ করেনি এখানে। অত্যন্ত সহজ সরল জীবন। মিশে দেখুন, অন্যরকম মনে হবে। এত আতিথেয়তা অন্য কোনও পাবেন না। অন্যরকম সুন্দর মনে হবে এই পৃথিবীটাকে।