One Nation One Election: রাত ১১টার পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে অধীরকে ফোন…কী কথা হল? ফাঁস করলেন নিজেই

এক দেশ এক ভোট। এই বিষয়টি কতটা বাস্তবে প্রয়োগ করা যায় তা খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নাম ছিল কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তবে তিনি তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এবার গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন অধীর।

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ৩১ তারিখ রাত ১১টার পরে আমার অফিসের সেক্রেটারির ফোনে একটা ফোন এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব মিশ্রজীর ফোন এসেছিল। তিনি আমার পুর্ব পরিচিত কারণ আমি মাঝেমধ্য়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাই… সেকারণে পরিচিতি রয়েছে। তিনি বলেন, কেমন আছেন? আমি বললাম ঠিক আছি। আমি প্রশ্ন করলাম এত রাতে ফোন করলেন কোনও ব্যাপার হয়েছে? তিনি বলেন, নাহ একটি বিষয় জানানোর জন্য ফোন করলাম। সরকার একটি কমিটি তৈরি করতে যাচ্ছে। সেই কমিটিতে আপনাকে রাখার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর মধ্য়ে আপনি থাকুন এটা সরকার চাইছে। বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব। জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এরপর কী হল?

 

আমি বললাম এত রাতে আপনি ফোন করেছেন এটা আশ্চর্যের। তবে আপনি যে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্য়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ ফোন তোলেন না। কিন্তু এই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের সব কাগজ আমার কাছে দিন। এরপর আমি নিজের সিদ্ধান্ত জানাব। কারণ সিবিআই ডিরেক্টর যোগ দেওয়ার আগে সব কাগজ আমার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। হাওয়ায় হাওয়ায় কী কথা বলব! অফিসারের সঙ্গে কী কথা বলব! কোনও মন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কেউ নন। একজন অফিসার ফোন করেছেন। সেটাও আবার রাত ১১টার পরে। একজন বাবুকে দিয়ে ফোন করালেন সেটা আবার রাত ১১টার পরে…কার্যত বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।

এক দেশ এক ভোট। সেই কমিটি থেকে আপাতত নাম প্রত্যাখানের জন্য় চিঠি পাঠিয়েছেন অধীর চৌধুরী। সেই সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখ্যসচিব তাঁকে ফোন করেছিলেন। সেটাও রাত ১১টার পরে। এনিয়ে বিরক্ত কংগ্রেস নেতা তথা বাংলার কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।