RTI Reply on Narendra Modi: ২০১৪ সালের পর থেকে একদিনের জন্যও ছুটি নেননি মোদী! জবাব এল আরটিআইতে

একেই বলে কর্তব্যপরায়ণ। তারই নজির হাজির হল এবার। সেটাও আবার লিখিতভাবে। গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একদিনের জন্যও ছুটি নেননি। তথ্যে অধিকার আইনে এক ব্যক্তি এনিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেখানেই বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একদিনের জন্যও ছুটি নেননি। পুনের আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট প্রফুল্ল শারদা আরটিআই করেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে কতদিন ছুটি নিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর গোটা টার্মে একদিনের জন্যও ছুটি নেননি।

এই আরটিআইয়ের জবাবকে ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। তবে বাস্তবিকই অত্যন্ত কর্তব্য সচেতন প্রধানমন্ত্রী বলে পরিচিত নরেন্দ্র মোদী। বিদেশ থেকে ফিরেই তিনি দেখা করেন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে। আবার তারপরেই অন্য কোনও কর্মসূচিতে। মাঠে ময়দানেও দাপিয়ে বেড়ান তিনি। একদিনও অবসর নেই। রোজই কোনও না কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে।

বিদেশের মাটিতেও অত্যন্ত কর্মচঞ্চল তিনি। একের পর এক উদ্যোগের কথা জানান তিনি।

এদিকে এরপরই দ্বিতীয় প্রশ্নটা উঠে আসছে। তিনি সব মিলিয়ে কতগুলি অনুষ্ঠানে বা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন? সেই প্রসঙ্গে সামনে আসছে পিএমওর ওয়েবসাইটের একটি তথ্য। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৩০০০ কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়েছেন। তার মানে তাঁর গোটা মেয়াদে তিনি গড়ে দৈনিক একটি করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।

পিএমও আন্ডার সেক্রেটারি প্রবেশ কুমার এই আরটিআইয়ের জবাব দিয়েছেন। তিনি আবার কেন্দ্রীয় জনসংযোগ আধিকারিক।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মচঞ্চলতা নিয়ে বার বারই মুখ খুলেছেন তাঁর ক্য়াবিনেটের সদস্যরা। কখনও অমিত শাহ কখনও আবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁকে নিয়ে উচ্ছসিত।

এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত ছুটে বেড়ান প্রধানমন্ত্রী। বাংলা থেকে বিহার, কর্ণাটক থেকে কাশ্মীর বার বার ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের মাটিতেও তিনি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। আবার শত্রুদেশের প্রতি তিনি অত্যন্ত কড়া মনোভাব। অন্যদিকে দূরের প্রতিবেশীকে কীভাবে বন্ধু করতে হয় তার নানা উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী।