গোপনে রাশিয়ায় যাচ্ছেন কিম, যে বার্তা দিলো ওয়াশিংটন

যে কোনও সময় রাশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে দেশটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা তার। এমন তথ্য দিয়েছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা। তার দাবি, রাশিয়াকে কীভাবে অস্ত্র দেওয়া যায়– এ নিয়ে আলোচনা হবে। আর এসব অস্ত্র ব্যবহার হবে ইউক্রেন যুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম বিবিসি’কে সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় তুলে ধরেন। পুতিন-কিমের বৈঠকে কবে, কোথায় হতে যাচ্ছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এই প্রতিবেদন সম্পর্কে পিয়ংইয়ং বা মস্কো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

একটি সূত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছে, সামরিক ট্রেনে চড়ে রাশিয়ার উদ্দেশে ভ্রমণ করতে পারেন কিম। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে সমঝোতা হওয়ার পর সফরের বিষয়টি সামনে এলো।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সম্প্রতি উ. কোরিয়ায় সফর করেছেন। ওই সময় মস্কোর কাছে কামান ও গোলাবারুদ বিক্রি করতে পিয়ংইয়ংকে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অনেক কিছু প্রদর্শন করা হয়েছিল তার সফরের সময়। এসব ঘুরে দেখেন শোইগু।

উ.কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে নিয়মিত চিঠি বিনিময় হচ্ছে কিম ও পুতিনের। 

এ বিষয়ে কিরবি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র আলোচনা বন্ধ করতে এবং দেশটিকে কোনভাবেই অস্ত্র না দিতে আমরা উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করা হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভোস্টকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কূটনৈতিক সংবাদদাতা এডওয়ার্ড ওং বিবিসি নিউজকে বলেছেন, কিমের সফরকে সামনে রেখে উ. কোরিয়ার কর্তাদের একটি দল গত মাসের শেষ দিকে ভ্লাদিভোস্টক ও মস্কোয় যান।

সফরে কিম ট্রেনে করে ব্যক্তিগত দক্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে। থাকবে অভাবনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। করোনা মহামারীর আগে ২০১৯ সালে একইভাবে রাশিয়ায় সফরে গিয়েছিলেন কিম।