Balasore rail accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার ৩ মাস পরেও এখনও শনাক্ত হয়নি ২৮টি দেহ, সংরক্ষিত আছে এইমসে

গত ২ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই সন্ধ্যায় যেন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছিল ওড়িশার বালেশ্বর। রক্তে ভেসেছিল বাহানাগা স্টেশনের আশপাশের এলাকা। সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি দেশবাসি। স্বজন হারানোর কান্না এখনও থামেনি। তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখনও বহু দেহ শনাক্ত হয়নি। সবমিলিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহগুলি কেউ দাবি করেনি। ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে এই দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট দিলীপ পারিদা জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলিকে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালের বিশেষ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সেগুলি আরও বেশ কিছু সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এই অবস্থায় ওই দেহগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: ‘ভেবেছিলাম ছেলে বেঁচে আছে’ ৪২ দিন পর করমণ্ডলে মৃত আব্বাসের দেহ পেয়ে শোক

হাসপাতালের অধিকারিকরা মনে করছেন, দেহগুলি দাবির জন্য আর কারও না আসার সম্ভাবনায় বেশি। এবিষয়ে দিলীপ বাবু জানান, ‘আমরা মনে করি আর কোন দাবিদার এগিয়ে আসবে না। কারণ গত ১০ দিনের মধ্যে কেউ মৃতদেহ দাবির জন্য  আসেনি।’ উল্লেখ্য, এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তারা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেহগুলির কোনও দাবিদার না আসলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পাওয়ার পরে সেগুলি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।

দুর্ঘটনা পরেই ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতাল দুটি ধাপে ১৬২ টি মৃতদেহ পেয়েছে। তার মধ্যে ১৩৪ টি দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করার পর প্রকৃত দাবিদারদের হাতে সেগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ২৮টি দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।দিলীপ বাবু জানান, দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ পরীক্ষার পর করার পরে দাবিকারীদের কাছে মৃতদেহগুলি হস্তান্তর করেছি। তবে দাবিহীন মৃতদেহগুলির আরও সংরক্ষণের বিষয়ে রেল মন্ত্রকের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

প্রসঙ্গত, ২ জুন ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশায়। দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। অন্য লাইনে চলে যাওয়ায় একটি মালগাড়ির উপরে উঠে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। এছাড়াও, লাইনচ্যুত হয়ে যায় একাধিক বগি। উলটো দিক থেকে আসো হামসফর এক্সপ্রেসের একাধিক বগিও লাইনচ্যুত হয়ে যায়।  ঘটনায় কমপক্ষে ২৯৫ জন নিহত হন এবং ১২০০ জনেরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছিলেন।