G-20 Park: ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে জি-২০ পার্ক, দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না, কোথায় হল জানেন?

সামনেই জি-২০ সামিট। তার আগে নিউ দিল্লির চাণক্যপুরীতে তৈরি হয়েছে জি-২০ পার্ক। সেখানে জি-২০ সদস্য ১৯টি দেশের জাতীয় পশু ও জাতীয় পাখির ভাষ্কর্য তৈরি করা হয়েছে।

এখানে মূলত ধাতব বর্জ্যকে ব্যবহার করে এই ভাষ্কর্য করা হয়েছে। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর এই জি-২০ সামিট হবে দিল্লিতে। তার আগে তৈরি করা হল এই পার্ক। এনডিএমসি আধিকারিকদের মতে, গত এপ্রিল মাস থেকে ললিত কলা আকাদেমির ছাত্রছাত্রীরা গরহি গ্রামে এই ভাষ্কর্যগুলি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর জুলাই মাসে সেই ভাষ্কর্যগুলিকে ওখানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এরপর ওই পার্কটিকে সাজানোর কাজ করা হয়।

এনডিএমসি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জি-২০ দেশগুলির যে জাতীয় পশু ও জাতীয় পাখি রয়েছে সেগুলিকে এই পার্কে বসানো হয়েছে। ললিত কলা আকাদেমির চেয়ারম্যান ভি নাগদাস জানিয়েছেন, জি-২০ পার্কটি একদল নামকরা আর্টিস্ট তৈরি করেছেন। বর্জ্য পদার্থকে যে শিল্পের আকার দেওয়া যায় সেটাই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এখানে নানা ধরনের সুন্দর ভাষ্কর্যতকে তুলে ধরা হয়েছে। একদল প্রখ্যাত ভাষ্কর এগুলি তৈরি করেছেন। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে এই পার্কটি।

এদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০জন ছাত্রছাত্রী এই ভাষ্কর্য তৈরিতে সবরকমভাবে সহায়তা করেছেন। যে সমস্ত পশুপাখির ভাষ্কর্য তৈরি করা হয়েছে তার সামনে বিবরণ সম্বলিত প্লেটে লেখা হয়েছে। ওই পাখি বা পশু আসলে কোথাকার, তার বিবরণ লেখা রয়েছে। যে সামগ্রী দিয়ে এগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি এনডিএমসি গুদাম থেকে নেওয়া হয়েছে। লোহার বার, মোটরবাইকের পার্টস, অন্যান্য গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন ধরনের ধাতব জিনিসে অংশ, অন্যান্য ধাতব সামগ্রী দিয়ে এই ধরনের ভাষ্কর্য তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের ভাষ্কর্যের সামনে সেলফি পয়েন্টও করা হয়েছে।

এর মধ্য়ে ভারতের ময়ূর, আমেরিকার বাইসন, ব্রাজিলের জাগুয়ার, চিনের লাল মাথা সারস, সৌদির উট, অস্ট্রেলিয়ার এমু, রাশিয়ার বাদামি ভল্লুক, মেক্সিকোর গোল্ডেন ঈগল দিয়ে সাজানো হয়েছে এই পার্ক।