Scarcity of Rainfall: বিরাট উদ্বেগ! বাংলা, সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির বড় ঘাটতি,লাটে উঠতে পারে চাষ আবাদ

জিয়া হক

দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এবারের বর্ষা যেন সেভাবে জোরদার নয়। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এর জেরে ভারতের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। এর জেরে শুধু কৃষকদের নয়, সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষকেও এর ফল ভুগতে হতে পারে। মূলত গত কয়েকমাসে সবজির দাম একেবারে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই নিরিখে যদি কম বৃষ্টির জন্য ফসল সেভাবে না ফলে তাতে বড় সমস্যা হতে পারে।

পরিসংখ্যান বলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এবার বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে কম। পশ্চিমবঙ্গে এবার ২৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ৩৮ শতাংশ কম, বিহারে ২৭ শতাংশ কম, উত্তরপ্রদেশের ৩০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে ২১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত, মধ্য মহারাষ্ট্রে ২৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত, কেরলে ৪৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে খবর।

এর জেরে কৃষিক্ষেত্রের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?

খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত বৃষ্টিহীনতার জেরে ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের জেরে কৃষিক্ষেত্রে জলের টানাটানি শুরু হয়ে যেতে পারে। এর জেরে মারাত্মক সমস্যা পড়তে পারেন কৃষকরা। মূলত চাষ আবাদ করতে গেলে বিপুল জলের প্রয়োজন। বর্ষাকালে খাল বিল সব কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সেই জলেই পরবর্তীকালে চাষ করা হয়। সেই জলকেই কৃষিক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু ষেভাবে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তা যদি পূরণ না হয় তাহলে বড় বিপদ সামনে আসতে পারে।

সব মিলিয়ে গড়ে ১১ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি থেকেই গিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ না হলে মহা সমস্যা হতে পারে। সব থেকে বড় কথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সবজির দাম মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর অন্যতম বড় কারণ হল উৎপাদন ঠিকঠাক না হওয়া। এবারও যদি সেই পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে আখেরে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।

কোন কোন ফসলের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে?

গ্রীষ্মকালীন ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। চিনি, চাল, ডাল, সোয়াবিন, সবজির উৎপাদনের কুপ্রভাব ফেলতে পারে এই বৃষ্টিহীনতা।