Teachers’ Day: বাংলার মেধাকে সেলাম জানায় দেশ, বললেন মমতা, মাননীয়া আমরা রাস্তায়,আক্ষেপ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের

চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান। ভারতের বিজ্ঞানীরা গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত কতটা এগিয়ে। আর সেই জয়যাত্রার পতাকা যাঁরা ওড়ালেন তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম একঝাঁক বাঙালি বিজ্ঞানী। মঙ্গলবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইসরোর সেই বাঙালি বিজ্ঞানীদের কথা তুলে ধরলেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে বলেন, আমি গর্ব করে বলি ইসরো যে চন্দ্রযান পাঠাল, সেই কাজে বাংলার ৩৮জন ছিলেন। বাংলার মেধা, প্রতিভাকে সারা ভারতবর্ষ সেলাম জানায়। বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই সঙ্গে শিক্ষক দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, এই রাজ্যের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেরার সেরা শিরোপা পেয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর আহ্বান, বাংলাতেই কাজ করুন বাংলার মেধাবীরা।

তবে এটা কতদূর সম্ভব তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অনেকের মতে, বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা দিনের পর দিন ধরে রাস্তায় বসে রয়েছেন। ৯০৫ দিন ধরে তাঁরা বসে রয়েছেন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। সেখানেই তাঁরা এদিন শিক্ষক দিবস পালন করেন। সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণনের ছবিতে মালা দেন তাঁরা।

চাকরিপ্রার্থীদের মতে, চাকরিটা থাকলে হয়তো শিক্ষক দিবসটা অন্যভাবে পালন করতে পারতাম। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত আর হল না। দিনের পর দিন এভাবে রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। আর কতদিন এটা সহ্য করতে হবে! এদিনও একরাশ বঞ্চনা আর চোখে জল নিয়ে তাঁরা উপস্থিত ছিলেন ধর্নাস্থলে।

এক চাকরিপ্রার্থী তনয়া বিশ্বাস বলেন, অযোগ্যরা, কিছু ভুয়ো প্রার্থী শিক্ষক নামের পবিত্র শব্দটাকে নিয়ে চাকরি করছেন, সমাজ গড়ার জায়গায় সমাজটাকে ভেঙে দিচ্ছেন। আর সমাজ গড়ার কারিগররা আজ রাস্তায়। সর্বপল্লি রাধাকৃ্ষ্ণণ বেঁচে থাকলে জানতে পারতেন শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কীভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের আলোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এতে তো পেট ভরবে না। প্রতিনিয়ত আমাদের স্বপ্নকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২৩ থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের আইনি জটিলতার কাটাতে পারেন মাননীয়া। কিন্তু মাননীয়া একবার নির্দেশ দিচ্ছেন না। আজ চাকরি পেলে আমরা এভাবে বসতাম না। আমাদের শখের চাকরি নয়, আমাদের এটা হকের চাকরি।