বাংলায় ‘ডেটা রিসার্চ সেন্টার’ চালুর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বাড়বে কি কর্মসংস্থান?‌

রাজ্যে ‘ডেটা রিসার্চ সেন্টার’ চালু করতে হবে। এই মর্মে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে আলোকপাত করেন। আর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের পদস্থ কর্তাদের এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবকেও কাজ করার নির্দেশ দেন।

কেন এমন পদক্ষেপ করলেন?‌ এখন এই ডেটা রিসার্চ সেন্টার নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এখানে আবার অনেকে কর্মসংস্থান হবে বলে ভাবছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমার এক ভাইঝি আমেরিকার শিকাগোয় ডেটা সায়েন্সে কাজ করে। বাংলা থেকে বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী বিদেশে গিয়ে ডেটা রিসার্চ নিয়ে কাজ করছে। রাজ্যেই এই সুযোগ তৈরি করতে হবে।’‌ তারপরই মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যেও ডেটা রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে যা যা করা দরকার তা করতে বলেছেন বলে খবর।

আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এদিনের অনুষ্ঠানে পাঁচজনের হাতে শিক্ষারত্ন সম্মান তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে— যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কল্যাণকুমার চট্টোপাধ্যায়, কড়েয়া গভর্নমেন্ট স্কুলের আবদুল হালিক, কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশন (মেন) বয়েজের অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনের রাজা দে আছেন। সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের পক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এই স্কুলে ক্রিকেট খেলার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকেও ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তুলে দেন। আর বলেন, ‘‌আমার ভাইঝিকে বললাম, তুই বাংলায় আসছিস না কেন? ও বলল, আমরা ডেটা সায়েন্সের কাজ করি। আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে, তার উপর সমীক্ষার কাজ করে। সেখানে অনেক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়তে ডেটা সায়েন্স পড়ানো হয়। এই ধরনের কাজের সুযোগ বেশি।’‌

আরও পড়ুন:‌ আজ মসৃণভাবে অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন?‌ জেনে নিন টাটকা ট্রাফিক আপডেট

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের অধীন এই বছর দ্বাদশ শ্রেণির ৯.৭৮ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব কিনতে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ লক্ষ পড়ুয়া এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। আর খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই রাজ্যেও অনেক কাজের সুযোগ আছে। যাঁরা কাজের জন্য অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন, তাঁদের আবার রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‌বেঙ্গালুরুতে যারা কাজ করতে যায়, তাদের অনেকেই পরে কাজ ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু বাংলায় যারা একবার কাজ করতে আসে, তারা এখান থেকে কেউ ছেড়ে যায় না।’‌