রাজধানীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর দাবি আত্মহত্যা  

রাজধানীতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের স্বামীর দাবি, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করেছেন তার স্ত্রী। শাহজাহানপুরের গুলবাগের একটি ভাড়া বাসা থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খিলগাঁও-এর খিদমাহ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহবধূর নাম মুক্তা আক্তার মিতু। তার বয়স ২০। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে মিতু। দুটি সন্তান রয়েছে তার। স্বামীর সঙ্গে গুলবাগের ছয়তলা বাড়ির পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

মিতুর স্বামী ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ী মো. পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘সোমবার রাতে বাসায় দেরি করে ফেরায় আমাদের ঝগড়া হয়। পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে নাস্তা বানালেও ডিম ভাজেনি। তাই ওকে গালি দিয়ে হোটেলে নাস্তা আনতে যাই।ফিরে দেখি রুমের দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। দ্রুত তাকে খিদমাহ হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ 

শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকে  মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। পারিবারিক কলহে আত্মহত্যা করতে পারে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

মিতুর ছোট বোন মিম আক্তার বলেন, ‘দুলাভাই প্রায়ই রাত করে বাসায় ফেরেন। অন্য মেয়েদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসব নিয়ে বোনের সঙ্গে ঝগড়া হতো।’