G20 নিয়ে কি বাড়াবাড়ি করছে সরকার? বিরোধীদের দাবি নিয়ে কড়া জবাব জয়শংকরের

জি২০ সম্মেলন নিয়ে কী বাড়াবাড়ি করছে সরকার? তেমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সহ অনেক দলের মতে প্রতিটি দেশই তো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সুযোগ পায়। তাহলে এত হইচই কেন করছে মোদী সরকার, কেন দিল্লিকে কার্যত দূর্গ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবার সেই সব সমালোচনা নিয়ে বিরোধীদের একহাত নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিরোধীরা পুরনো দিনেই পড়ে গিয়েছে, এখন যুগ বদলে গিয়েছে, সেই কথা বলেই আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

তিনি বলেন যে আগে হয়তো সবকিছু লাটিয়েন্স দিল্লি বা বিজ্ঞান ভবনে হত। কিন্তু এখন সেটা হবে না। এটা নয়া সরকার, নয়া চিন্তাভাবনা, নয়া যুগ। প্রসঙ্গত সেপ্টেম্বরের ৯-১০ দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন আমন্ত্রিত দেশের রাষ্ট্রনায়কেরা। সেই নিয়েই সাজোসাজো রব রাজধানীতে।

জয়শংকর বলেন যে সারা দেশেই জি২০-র অনুষ্ঠান হয়েছে। এরমধ্যে অনেক রাজ্যই বিরোধীদের শাসিত। মোদী চেয়েছিলেন যে জি২০ যেন জাতীয় প্রচেষ্টার প্রতিফলন হয়।জি২০ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান যুব প্রজন্মকে বিদেশনীতির দিকে আকৃষ্ট করেছে বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে জি২০ দেশগুলি বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা ও ৮৫ শতাংশ জিডিপি আনে।

জি২০ সামিট থেকে শেষ পর্যন্ত যাতে কার্যকরী সিদ্ধান্ত উঠে আসে, তার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, ঋণ ইস্যু, পরিবেশ বদল সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের পরিস্থিতি টালমাটাল। এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থে ভারত কথা বলেছে বলে দাবি জয়শংকরের। যেসব দেশগুলি জি২০ নেই, তারাও ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মনে করেন তিনি। সবমিলিয়ে জি২০-র প্রতিনিধিরা গোটা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই তাঁর আশা। এদিন আমেরিকার তরফ থেকেও বলা হয়েছে যে তারা আশা করেন চিন অহেতুক বাগড়া দেবে না জি২০ আলোচনায়। উল্লেখ্য, পুতিন ও শি জিনপিং আসছেন না। এই নিয়ে শঙ্কা যে তাহলে কী বিভিন্ন ইস্যুতে কড়া অবস্থান নেবেন চিন ও রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে কোনও উল্লেখ থাকবে কিনা, সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। জয়শংকর যদিও খুবই আশাবাদী, যে ভালোয় ভালোয় আলোচনা হবে ও পথ দেখাবে এবারের জি২০। যারা নিন্দা করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তাঁর স্পষ্ট কথা, আপনারা ১৯৮৩-তে ফিরে যান, নয়া ভারতে নয়া ভাবে কাজ হবে।