G-20 Hoarding: বাইডেনের চেয়েও জনপ্রিয় মোদী, এই হোর্ডিং কি রয়েছে জি-২০তে? সত্যিটা জানুন

পৌলমী ঘোষ

পুরানো একটি হোর্ডিংয়ের ছবি ফের ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সামনেই জি-২০। পুরানো সেই হোর্ডিংয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিশ্বের জনপ্রিয় নেতা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল।

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ও পবন খেরা এই হোর্ডিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার তীব্র খোঁচা দেন। তাঁদের প্রশ্ন এটাই কি বিজেপির অতিথি দেব ভব! তবে বিজেপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে এমন কোনও হোর্ডিং টাঙানো হয়নি।

এদিকে সেই হোর্ডিংয়ে বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েলের নাম আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজয় গোয়েল টুইট করে জানিয়েছেন, এটা একটা ভুয়ো খবর। এই ধরনের কোনও হোর্ডিং টাঙানো হয়নি। কংগ্রেস যেন এই ধরনের রাজনীতি না করে।

 

কী ছিল সেই হোর্ডিংয়ে?

সেই হোর্ডিংয়ে দেখা গিয়েছিল সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আগে মোদীর ছবি। সেখানে পেছনে রয়েছেন, আমেরিকা, ব্রাজিল, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো। তবে এটা একটা পুরানো হোর্ডিং বলে খবর। পরে পবন খেরা, শশী থারুর দুজনেই এই টুইট মুছে দেন।

এদিকে জি-২০ সামিট উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি। একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসতে পারেন এখানে। তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ এই সামিটকে সফল করা মোদী সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন,ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডেইউ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আসতে পারেন বলে খবর।

তবে রাশিয়া আর চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের আসার বিষয়টি অনিশ্চিত। এনিয়ে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। পবন খেরা এনিয়ে জানিয়েছেন, খুব ভালো কর্মসূচি করা হচ্ছে। কিন্তু দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা কেন আসছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আশা করছি কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এনিয়ে জবাব দেবেন।

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আমরা এস জয়শঙ্করকে জানাতে চাই, এত বড় খরচ খরচা করে মোদী যখন এই আয়োজন করছেন,মন্ত্রীদের তখন একটা দায়িত্ব থাকে যে তাতে যেন সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত থাকেন। এতে দেশেরই উপকার হত।